আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ মে ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিনিধিদলের ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যসহ প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনডি কোর্সের মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, সৌদি আরব, ওমান, মালয়েশিয়া, মালি, নেপাল, নাইজার, নাইজেরিয়া, জর্ডান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ সুদানসহ ১৭টি দেশের শতাধিক সামরিক কর্মকর্তা।

ন্যাশলাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিনিধিদল ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন কার্যক্রম স্বশরীরে প্রত্যক্ষ করেন। সে সময় তাঁরা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও অভিজ্ঞতা লাভ করে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।

বুধবার (৩ মে) সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হুসেইনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাদেরকে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম। ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শনে আসায় তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রতিনিধিদলকে  ধন্যবাদ জানান।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়খুজ্জামান, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম, এস এম জাহিদ হাসান, ইউসুফ আলী ও ইয়াছির আল-ইমরান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মহসিন আলী মোল্লা, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের ইনচার্জ আব্দুর রউফ প্রমুখ।

হেডকোয়ার্টার প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তাঁরা ওয়ালটনের তৈরি বিভিন্ন পণ্যে সজ্জিত ডিসপ্লে সেন্টার প্রত্যক্ষ করেন। পরে অতিথিরা ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেফ্রিজটারেটর, কম্প্রেসর, মেটাল কাস্টিং, মোল্ড, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, এলিভেটর, ল্যাপটপ-কম্পিউটার ইত্যাদি পণ্যের প্রোডাকশন প্ল্যান্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনের পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে যে এত উন্নতমানের ফ্যাক্টরি আছে, স্বশরীরে ওয়ালটনে না এলে আমরা বুঝতেই পারতাম না। এখানে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং এরিয়ার ভেতর ফ্রিজ, এসি, টিভি, কম্প্রেসর, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিকমানের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, হাউজহোল্ড অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদিত হচ্ছে। ওয়ালটন প্রায় সব ধরনের পণ্য ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই তৈরি করছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ওয়ালটন মহামূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করছে। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব পণ্যসামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করছে। সবকিছু মিলিয়ে ওয়ালটন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স সত্যিকার অর্থেই একটা গ্রিন ফ্যাক্টরি। অন্যান্য সব কারখানা থেকে এটা পুরোপুরি ভিন্ন। ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করে সত্যিই আমরা বড় অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিদেশি যেসব কোর্স মেম্বার আছেন, তাঁরাও এই জ্ঞানটা অর্জন করে নিয়ে গেলেন। আশা করি তারা আজকের এই অভিজ্ঞতা তাদের দেশে শেয়ার করবেন। সত্যি কথা বলতে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করে আমরা ওয়ালটন ও বাংলাদেশ নিয়ে অভিভূত ও গর্বিত।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.