প্রথম প্রান্তিকে বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৭.৭ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের আয় বেড়েছে। বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রকাশিত ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রান্তিকে বাংলালিংকের আয় আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলালিংক। তাতে বলা হয়েছে, নেটওয়ার্কের গতি, সম্প্রসারিত কাভারেজ ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। ফলে বাংলালিংক গ্রাহকেরা প্রতিনিয়ত সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত সেবা পাচ্ছেন।
২০২৩-এর প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি–মার্চ সময়ে সেবা থেকে বাংলালিংকের আয় আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। ফলে টানা চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে। এ সময় ডেটা থেকে বাংলালিংকের আয় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি চার কোটি গ্রাহকের মাইলফলকও অর্জন করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্চে প্রকাশিত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাসিক, প্রান্তিক ও বার্ষিক হিসাব অনুসারে বাংলালিংক দেশের অপারেটরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পেয়েছে। বাংলালিংক শেষ তিন বছরে টানা ষষ্ঠবারের মতো দেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা®স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক দুই অঙ্কের ঘরের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখে এই বছর খুব ভালোভাবে শুরু করেছে। ধারাবাহিক এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে আমাদের ডিজিটাল অপারেটরভিত্তিক কৌশল, যার লক্ষ্য হলো, উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা নিয়ে আসার মাধ্যমে নতুন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করা।’
এরিক অস আরও বলেন, ‘সারা দেশে বিস্তৃত একটি অপারেটরে রূপান্তরিত হওয়ার প্রচেষ্টাও এই সাফল্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। আমাদের বিস্তৃত ফোরজি নেটওয়ার্ক ও বিভিন্ন ডিজিটাল সেবার কারণে দেশের সব প্রান্তের কোটি কোটি গ্রাহক এখন বাংলালিংককে পছন্দের অপারেটর হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলালিংক ডিজিটাল লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে দেশব্যাপী ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করে সর্বোচ্চ গতির নেটওয়ার্কের অবস্থান ধরে রাখতে চায়। দেশের প্রযুক্তিগত বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখতেও প্রতিষ্ঠানটি অঙ্গীকারবদ্ধ।