আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ওয়ালটন ফ্রিজারে থাকবে লাভেলোর আইসক্রিম দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজারে থাকবে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড লাভেলোর আইসক্রিম। শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিকমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ২৫ হাজার ইউনিট আইসক্রিম ফ্রিজার নিবে লাভেলো। দেশজুড়ে লাভেলোর রিটেইল আউটলেটগুলোতে দেয়া হবে ওয়ালটন আইসক্রিম ফ্রিজার।

বৃহস্পতিবার (১১ মে, ২০২৩) রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল দ্যা ওয়েস্টিন ঢাকা’তে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি.’র চেয়ারম্যান দাতিন’ শামীমা নার্গিস হক এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র পরিচালক জাকিয়া সুলতানা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

সে সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাতো’ ইঞ্জিনিয়ার মো. একরামুল হক, চিফ অপারেটিং অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান, চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ইঞ্জিনিয়ার কাওসার আহমেদ, ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তোফায়েল আহমেদ, চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. শাহজাদা সেলিম ও ইঞ্জিনিয়ার মো. তানভীর আনজুম, হেড অব ওয়ালটন করপোরেট সেলস আহমেদ তানভীর, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের আইসক্রিম বাজার দিন দিন বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে কমার্শিয়াল ফ্রিজের বাজারও। সম্ভাবনাময় এই বিশাল বাজার ছিলো আমদানি নির্ভর। ওয়ালটন এই আমদানি নির্ভরতা দূর করে এ খাতে দেশীয় শিল্পে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। কমার্শিয়াল ফ্রিজে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা আশা করি দেশের অন্যতম শীর্ষ আইসক্রিম ব্র্যান্ড লাভেলোর মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের টেম্পারড গøাস ডোরের আকর্ষণীয় ডিজাইন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আইসক্রিম ফ্রিজারসহ ওয়ালটনের কমার্শিয়াল ফ্রিজে আস্থা রাখবেন।

তাওফিকা ফুডস এন্ড লাভেলো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাতো’ ইঞ্জিনিয়ার মো. একরামুল হক বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও শীর্ষ দুই ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও লাভেলো। দেশের আইসক্রিম প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার ফ্রিজার আমদানি করছে। আজ লাভেলো ও ওয়ালটনের মধ্যে চুক্তির মধ্য দিয়ে সম্ভাবনাময় আইসক্রিম ফ্রিজারের বাজারে ‘মেইড ইন বাংলাদেশের’ যাত্রা শুরু হলো। ওয়ালটনের প্রতি আমাদের দৃঢ় আস্থা রয়েছে। তাই ওয়ালটনের কাছ থেকে লাভেলো এককভাবে ২৫ হাজার আইসক্রিম ফ্রিজার নিবে। ভবিষ্যতে এই চাহিদা আরো বাড়বে।

ওয়ালটন ফ্রিজের সিবিও তোফায়েল আহমেদ জানান, দেশে আইসক্রিম ফ্রিজারের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার ইউনিট। যেখানে ওয়ালটনের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ হাজার ইউনিটের বেশি। অন্যদিকে বেভারেজ কুলারের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ইউনিট। আর ওয়ালটনের একক বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১ লাখ ইউনিটের বেশি। কিন্তু কিছু স্থানীয় ডিলার ও ইন্ডাস্ট্রি এখনো বিদেশ থেকে বেভারেজ কুলার ও ফ্রিজ আমদানি করে দেশের বাজারে চড়ামূল্যে বিক্রি করছে। ফলে একদিকে ব্যয় হচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় উৎপাদক ও শিল্পের অগ্রগতি। তাই দেশে উৎপাদিত এসব পণ্যের আমদানি বন্ধে এখনই কঠোর সরকারি পদক্ষেপ নেয়া হলে দেশীয় উচ্চ প্রযুক্তি শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, লাভেলো দেশের আইসক্রিম বাজারের অন্যতম এক শীর্ষ ব্র্যান্ড। সারাদেশে তাদের ২২ হাজারের বেশি রিটেইল আউটলেট রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ২০ শতাংশ ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তারা।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে আন্তর্জাতিকমানের ফ্রিজ ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টে উচ্চ গুণগতমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের আড়াইশোর বেশি মডেলের ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। উৎপাদিত ফ্রিজের মধ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, আইসক্রিম ফ্রিজার ও বেভারেজ কুলার। ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। ফলে ওয়ালটন ফ্রিজ যেমন বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, তেমনই পরিবেশবান্ধব।

ক্যাপশন: ২৫ হাজার ইউনিট আইসক্রিম ফ্রিজার সরবারহে ওয়ালটন ও লাভেলোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.