আজ: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ মে ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

যারা ভোট ডাকাত ছিল তারাই এখন গণতন্ত্র চায় : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে সকালে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি টিমের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি : পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ভোট ডাকাত ছিল তারাই এখন গণতন্ত্র চায়; ভোটের অধিকারের কথা বলে। যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে, তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় এই সমস্ত কথা। মাঠের কথা মাঠে থাকবে, আমরা জনতার সঙ্গে থাকব; জনতার পাশে থাকব। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করব; জনগণের জন্য কাজ করব।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার তাঁকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে যায় একটি প্রতিনিধি দল। গণভবনে ওই শুভেচ্ছা গ্রহণের পর দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে, ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কবে ছিল? নানা পদক্ষেপের ফলে, বিভিন্ন সংস্কার করে করে নির্বাচন পদ্ধতিটাকে গণমুখী করেছে আওয়ামী লীগ। ভোট সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এ স্লোগান দিয়ে মানুষকে যে ভোট সম্পর্কে সচেতন করা, এটা আওয়ামী লীগই করেছে। এটা আর কারও নয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যেখানে ভুয়া ভোট দিয়ে ভোটার তালিকা হতো, সেখানে ছবিসহ ভোটার তালিকা, আইডি কার্ড, যতটুকু সংস্কার, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন, এগুলো তো আওয়ামী লীগই করেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সও করে দিয়েছি আমরা। তারপরও কেউ যখন গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোট নিয়ে সবক দিতে আসে আমাদের, সেখানে বলার কিছু থাকে না।

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ করার ঘোষণা দিয়ে সেটি কার্যকর করতে কাজ করে যাচ্ছি। যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল বা যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে তাদের ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। আমাদের অর্জন নস্যাৎ করতে চায় তারা। উদ্দেশ্যে যদি সততার সঙ্গে হয়, তাহলে যে কোনো জায়গায় সাফল্য আসতে পারে। এই কথাটা সবসময় মনে রাখি। লক্ষ্য একটাই, এদেশের মানুষের জীবনটা উন্নত করা। তাদের ভাগ্যটা পরিবর্তন করা। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়েছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। সেই হাসি ফোটানোটাই একমাত্র কর্তব্য। সেটা আমরা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আজকে যখন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর দিই, সেই ঘর পাওয়ার পর তার যে মুখের হাসি ও চোখের পানি একাকার হয়ে যায়, আমার মনে হয় এর চেয়ে বড় পাওয়া বা সার্থকতা আর কিছু নেই। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাটা যেন অব্যাহত থাকে, তাই আমাদের প্রচেষ্টা হবে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করে তাদের ভোটের মাধ্যমে আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র শক্তি। আর কোনো শক্তি নেই। বাংলাদেশের জনগণই হচ্ছে আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু, এটা মনে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেদিন ফিরে আসি সেদিন তো আর চেনা মুখগুলো পাইনি। পেয়েছিলাম এদেশের জনগণকে, আর আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে। সেই থেকে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের জনগণ আমার পরিবার। আমি সেভাবেই নিয়েছি। আজকে আমি বলব, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এটাকে ধরে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চলতে হবে। ধন-সম্পদ কারো চিরদিন থাকে না। মরলে ওই মাটির নিচেই যেতে হবে। কোনো কিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারে না। বেশি করলে বদনামটাই সাথে নিয়ে যেতে হয়। কাজেই সেটা যেন না হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.