পাঞ্জাবকে বিদায় করে প্লে-অফের আশা বাঁচাল রাজস্থান
স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান আইপিএলে এখন দুটি বিষয় প্রতি ম্যাচে নজরে থাকে। একটি প্লে-অফ নিশ্চিত হলো কিনা, আরেকটি হলো নিয়মরক্ষার ম্যাচ। অর্থাৎ প্রথম রাউন্ডে বিদায় নিশ্চিতকারী দল কেবলই নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে নামে। যেখানে কয়েকটি দলকে পরের রাউন্ডে যেতে মেলাতে হচ্ছে কঠিন সমীকরণ। সেরকমই একটি সমীকরণে পড়েছে রাজস্থান রয়্যালস। যশস্বী জয়সওয়াল ও শিমরন হেটমায়ারের ব্যাটে পাঞ্জাব কিংসকে তারা ৪ উইকেটে হারিয়েছে। যার মাধ্যমে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রাজস্থান। একইসঙ্গে এবারের আসর থেকে পাঞ্জাবের বিদায়ও নিশ্চিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ মে) ধর্মশালায় দু’দলের জন্যই একই সমীকরণ ছিল। জয়ের প্রয়োজন ছিল দু’দলেরই। তাদের সমীকরণটা ছিল- শুধু জয় নয়, জয়ের ব্যবধানটাও হতে হবে বড়। তবে বড় জয় না পেলেও রাজস্থানের আশা এখনও টিকে আছে।
এদিন প্রথমে ব্যাট করা পাঞ্জাব শুরুতেই উইকেট হারায়। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ওপেনার প্রভসিমরান সিং ফেরেন মাত্র ২ রান করে। উইকেট হারালেও রয়েসয়ে খেলার সুযোগ ছিল না শেখর ধাওয়ানদের। অথর্ব তাইদেকে সঙ্গী বানিয়ে ধাওয়ান বোলারদের ওপর চড়াও চেষ্টা করেন। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। ১২ বলে ১৭ রানে ধাওয়ান এবং তাইদে ফেরেন ১২ বলে ১৯ রান করে। জাম্পার বলে ধাওয়ান এবং নবদীপ সাইনি তাইদেকে ফিরিয়েছেন।
এরপর দলীয় ৪৬ ও ৫০ রানে আরও দুটি উইকেট হারায় পাঞ্জাব। যা তাদের বড় স্কোরের আশাকে মিইয়ে দিতে থাকে। তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ানো লড়াই শুরু প্রীতি জিনতার দলের। স্যাম কারান ও জিতেশ শর্মা ৬৪ রানের জুটি বাধেন। পরবর্তী জুটিতেও ছিলেন কারান। শাহরুখ খানের সঙ্গে তার জুটিটা আরও বড়। দুজনের ৭৩ রানের সেই হার না মানা বাধ পাঞ্জাবকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। জিতেশ ২৮ বলে ৪৪ রান করে ফিরলেও, কারান-শাহরুখ ছিলেন অপরাজিত। দুজনে মিলে শেষ দুই ওভারে তোলেন ৪৮ রান। ৩১ বলে কারান এবং শাহরুখ ২৩ বলে ৪১ রান করেন। অল্প পুঁজির শঙ্কায় থাকা পাঞ্জাব নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে।
রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সাইনি। এছাড়া জাম্পা ও বোল্ট একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
১৮৮ রান তাড়া করতে নেমে ব্যক্তিগত শূন্য রানেই ফেরেন জস বাটলার। এ নিয়ে টানা তিন ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন বাটলার। এই মৌসুমে সব মিলিয়ে পাঁচবার শূন্য রানে ফিরেছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার, যা আইপিএলে এক মৌসুমে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। বাটলার দ্রুত ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন যশস্বী জয়সওয়াল ও দেবদূত পাদিক্কাল। দুজনে গড়েন ৪৯ বলে ৭৩ রানের অনবদ্য জুটি।
পাদিক্কাল ৫১ করে ফেরার পর ক্রিজে আসা অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও দ্রুতই আউট হন। এরপর হেটমায়ারকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জয়সওয়াল। ৩৬ বলে ৫০ রান করে আউট হন জয়সওয়াল। হেটমায়ার করেন ২৮ বলে ৪৬ রান। হেটমায়ারের এই ইনিংসেই জয় পাওয়া সহজ হয় রাজস্থানের। আর ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার ধ্রুব জুড়েল শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণ দুই বল বাকি থাকতেই মিলিয়ে ফেলেন।
এই জয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকা রাজস্থানের পয়েন্ট ১৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা মুম্বাইকে তারা টপকে গেছে। এখন প্লে-অফের জন্য সেরা চারে ঢুকতে ভাগ্যের সহায়তা লাগবে গতবারের ফাইনালিস্টদের। বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই দুটি দলেরই শেষ ম্যাচে হার চাইবে রাজস্থান। তবে কোহলিদের শুধু হারলেই হবে না, গুজরাটের বিপক্ষে হারতে হবে কমপক্ষে ৬ রানে।