আজ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ মে ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

ব্যাংকখাতের অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেছেন, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেড়েছে। এখন ডিপোজিট বেড়েছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা হয়েছে। দেশের পুরো ব্যাংকখাতে এখন অতিরিক্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবিবির চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেছেন, এখনও এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। ছোট ছোট এলসিগুলো খুলতে পরছি না। আমাদের কাছে ১০টি এলে হয়তো ৪টি এলসি খুলতে পারছি। তবে আমাদের ভালো দিক হলো এক্সপোর্ট বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে।

তিনি বলেন, করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতিতেও অর্থনৈতিক মন্দায় কাটি উঠতে শুরু করছে ব্যাংকখাত। এখন আমানত বাড়ছে কিন্তু সে তুলনায় ঋণ বিতরণ কমেছে। এখন অতিরিক্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, আগামী জুলাই থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বিশেষত ডলারের একক দামে বেচাকেনা শুরু হবে। এটি বাজারের ওপরে ছেড়ে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদহার বাজারভিত্তিক হওয়া কতটুকু প্রয়োজন তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। বেধেঁ দেওয়া সুদহার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। আসছে মূদ্রানীতিতে যদি সুদহারের ক্যাপ তুলে দেওয়া হয় তবুও সেটা বাজারভিত্তিক হবে না, তবে এটিকে ইতিবাচক হিসাবেই ধরে নেওয়া হবে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.