আজ: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

অর্থবছরের প্রথম দশমাসেই লক্ষ্যমাত্রার ৮৭% ঋণ বিতরণ কৃষি খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে ২৬ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।তার আগের বছরের ১০ মাসে কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছিল ২৩ হাজার ৭৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি অর্থ বছরে কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত আট বাণিজ্যিক ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। ১০ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ দমমিক ৭৯ শতাংশ বিতরণ করেছে। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৮৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে সকল পণ্যের দাম ব্যাপক বেড়েছে। আমাদের দেশের খাদ্যজাত পণ্য আমদানির চেয়ে দেশে উৎপাদনের প্রতি সরকার বেশি মনোযোগী। তাই কৃষিখাতে ঋণ বিতরণ বাড়াতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে, এ কারণে ঋণের প্রবৃদ্ধি ভালো।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বাদে সব ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের কমপক্ষে ২ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণের বাধ্যবাধকতা আছে। এর ভিত্তিতে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়। কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পুরো ঋণই কৃষি খাতে বিতরণ করার কথা।

তথ্যে দেখা যায়, ১০ মাসে সর্বনিম্ন কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে মধুমতি ব্যাংক। ব্যাংকটির বরাবরই কৃষিঋণ বিতরণে অনীহা। ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের হার মাত্র ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ঋণ বিতরণ করেছে ইউনিয়ন ব্যাংক। ব্যাংকটির বিতরণ করা কৃষিঋণের হার ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ।

লক্ষ্যমাত্রার বেশি কৃষিঋণ বিতরণ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের কৃষি ব্যাংক, বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড চাটার্ড ও হাবিব ব্যাংক এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ঢাকা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক।

পল্লি অঞ্চলে যেসব ব্যাংকের শাখা রয়েছে, সেসব ব্যাংক নিজস্ব শাখার মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করছে। যেসব ব্যাংকের পল্লি অঞ্চলে নিজস্ব শাখা নেই তারা এনজিও লিংকেজের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করছে। দেশি-বিদেশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোই মূলত এনজিও লিংকেজ ব্যবহার করছে। তবে যেসব বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পল্লি অঞ্চলে বেশি শাখা আছে তারা নিজস্ব চ্যানেলে কৃষিঋণ বিতরণ করছে।

এনজিও লিংকেজ ব্যবহার করে কৃষিঋণ বিতরণ করার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দিচ্ছে ৮ থেকে ৯ শতাংশ সুদ হারে। আর এনজিওগুলো কৃষকের কাছে থেকে ২২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে গত ১০ মাসে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যার সুদ হার ২২ শতাংশ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.