নিজস্ব প্রতিবেদক : এএফসি গ্রুপের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেড ও এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) অর্ধেকের বেশি কমেছে। আলোচ্য সময়ে এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি দুটির নিট মুনাফা যথাক্রমে ৫২ দশমিক ২৩ শতাংশ ও ৫৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমেছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানি দুটির সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

অ্যাকটিভ ফাইন: চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট বিক্রি হয়েছে ৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ বিক্রি ছিল ১১৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি কমেছে ৩১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে বিক্রি কমার পাশাপাশি কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা কমেছে ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা বা ৫২ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সর্বশেষ তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৪ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা শূন্য ৭ পয়সায়।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির নিট বিক্রি হয়েছে ২৯ কোটি ৬ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট বিক্রি কমেছে ৯ কোটি ১০ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে এ মুনাফা হয়েছিল ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানি নিট মুনাফা কমেছে ৬০ লাখ টাকা বা ৬১ দশমিক ৮১ শতাংশ। সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালসের পর্ষদ। কোম্পানির সর্বশেষ এজিএমে এরই মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেয়া হয়েছে। তবে এ লভ্যাংশ বিতরণের তথ্য এখনো স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়নি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গত বছরের ১৭ নভেম্বর। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২২ টাকা ৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২২ টাকা ১ পয়সায়।

এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস, আগের হিসাব বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি।

এএফসি এগ্রো বায়োটেক: চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ মুনাফা ছিল ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটি নিট মুনাফা কমেছে ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বা ৫৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৯ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৪৯ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে এএফসি এগ্রো বায়োটেকের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানির সর্বশেষ এজিএমে এরই মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেয়া হয়েছে। তবে এ লভ্যাংশ বিতরণের তথ্য এখনো স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়নি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গত ১৭ নভেম্বর। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১৫ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৮ টাকা ১৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৮ টাকায়।

এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগদের দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এএফসি এগ্রো বায়োটেক। আগের হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনোন লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি।