আজ: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

কানাডায় হাজারো বাড়িঘর থেকে মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যালিফ্যাক্সে দাবানলের কারণে হাজার হাজার বাড়িঘর বাধ্যতামূলকভাবে খালি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, পৌর কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে দাবানলের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। মঙ্গলবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

হ্যালিফ্যাক্স শহরের মেয়র মাইক স্যাভেজ বলেছেন, বাড়িঘর খালি করার আদেশ দেওয়ার কারণে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় রোববার জারি করা এই আদেশে হ্যামন্ডস প্লেইনস, আপার ট্যান্টালন এবং পকওক এলাকাও কভার করেছে। শহরতলির এই এলাকাগুলোতে এমন মানুষই বেশি থাকেন যারা শহরে শ্রমিকের কাজ করেন এবং এটি হ্যালিফ্যাক্স শহর থেকে প্রায় ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত। জঙ্গলে ঘেরা আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা সারারাত অস্বস্তির মধ্যে কাটিয়েছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার নোভা স্কটিয়া প্রদেশের দাবানল পরিস্থিতিকে – যেখানে হ্যালিফ্যাক্স অবস্থিত – ‘অবিশ্বাস্যভাবে গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, তার সরকার প্রয়োজনে যে কোনও সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

এদিকে দাবানলের কারণে সপ্তাহান্তে নিউ ব্রান্সউইক প্রদেশে প্রায় ৪০০টি বাড়ি থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিউ ব্রান্সউইকের সেন্ট অ্যান্ড্রুসের মেয়র ব্র্যাড হেন্ডারসন সোমবার বলেছেন, দাবানল পরিস্থিতির অগ্রগতি হলেও আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

হ্যালিফ্যাক্স রিজিওনাল ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি’র ডেপুটি চিফ ডেভ মেলড্রাম সোমবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ট্যান্টালন এবং হ্যামন্ডস প্লেইন এলাকায় আগুন জ্বলছে। আগুনের কারণ এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত মৃত্যু বা আহত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

মেলড্রাম আরও বলেছেন, প্রায় ১০০ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী সারারাত আগুন নিয়ন্ত্রণে লড়াই করেছেন। একইসঙ্গে জরুরি কর্মীদের সামনে ‘অনেক দিন’ ব্যাপক কাজ করেতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, দাবানলের কারণে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে রোববার রাতে শহরটি স্থানীয় ভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি স্কুলও বন্ধ করে দেয়। জারিকৃত এই জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া না হলে বা আরও বাড়ানো না হলে আগামী সাত দিনের জন্য কার্যকর থাকবে বলে পৌরসভা জানিয়েছে।

এর আগে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার কারণে চলতি মাসের শুরুর দিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। একইসঙ্গে দাবানল মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সামরিক সহায়তার অনুরোধও জানিয়েছিল প্রদেশটি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.