আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ জুন ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

ঈদ উপলক্ষে ১০ কেজি করে চাল পাবেন ১ কোটি দরিদ্র পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দেশের এক কোটি ৫১ হাজার দরিদ্র ব্যক্তিকে ১০ কেজি করে চাল দেবে সরকার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে এ বরাদ্দ দিয়ে সম্প্রতি সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে। এজন্য এক লাখ ৫১৫ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৯টি এবং ক, খ ও গ ক্যাটাগরির ৩২৯টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫১টিসহ মোট এক কোটি ৫১ হাজার ৫০০টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে কার্ডপ্রতি ১০ কেজি হারে এক লাখ ৫১৫ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফ চাল আগামী ২০ জুনের মধ্যে উত্তোলনসহ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বরাদ্দের শর্তে বলা হয়, এসব ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনর্বিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। www.bbs.gov.bd ওয়েবসাইটে লগইন করে জনসংখ্যার তথ্য পাওয়া যাবে।

দুঃস্থ/অতিদরিদ্র ব্যক্তি/পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে। তবে সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ/অতিদরিদ্রকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এছাড়া নিচের শর্তাবলির মধ্যে কমপক্ষে চারটি শর্ত পূরণ করে এমন ব্যক্তি/পরিবার দুঃস্থ বা অতিদরিদ্র বলে গণ্য হবে। এরমধ্যে রয়েছে- পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিনমজুরির আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবার নারী শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারের উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো ব্যক্তি নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্তা নারী, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল বা অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্রঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য ও অর্থ সংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দুবেলা খাবার পায় না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.