আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ জুন ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

এলএনজি আমদানি বাড়াতে ওমানের সঙ্গে চুক্তি আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে আরও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য ওমানের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ওকিউটিএর সঙ্গে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে বাংলাদেশের তেল গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা।

সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীতে ওকিউটি ও পেট্রোবাংলা’র মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে, যা নিশ্চিত করেছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় ওমান থেকে ১-১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ওমানের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির অতিরিক্ত হিসেবে ১০ বছরের জন্য একটি চুক্তির অধীনে আরও ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন আমদানি বাড়ানো হবে।ইউএনবি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে ঘন ঘন দামের ওঠানামার কারণে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ তার এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাওয়ার জন্য কাতারের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

পেট্রোবাংলা কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস লাফান লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (কাতারগ্যাস) সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নতুন এ চুক্তির অধীনে কাতার ২০২৬ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর অতিরিক্ত প্রায় ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহ করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ১২টি এলএনজি এবং ২০২৭ সালে ২৪টি কার্গো পাবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি বিদ্যমান চুক্তির অধীনে ২০১৮ সাল থেকে ১ দশমিক ৮২-২ দশমিক ৫ মিলিয়ন এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করছে।

দেশের মোট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) চাহিদা ৪ হাজার এমএমসিএফডির বিপরীতে প্রায় ১ হাজার এমএমসিএফডির ঘাটতি রয়েছে। যা মোট উৎপাদনের মধ্যে ৭০০ এমএমসিএফডিসহ ২৩০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.