আরেকটি ৭ গোলের গল্প লিখল ইংল্যান্ড, সাকার হ্যাটট্রিক
স্পোর্টস ডেস্ক : ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষকে পেয়ে গোলের জোয়ার তুলেছে ইংল্যান্ড। বুকায়ো সাকার হ্যাটট্রিক এবং হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে তারা নর্থ মেসিডোনিয়াকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। ১৬ বছর পর ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলতে নেমেই বাজিমাত করেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
এদিন ইংলিশদের দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারী মেসিডোনিয়া। ম্যাচের বাকি দুটি গোল করেছেন মার্কাস রাশফোর্ড ও কেলভিন ফিলিপস। এই ম্যাচ দিয়ে টানা ছয় ম্যাচে গোল পেয়েছেন তারকা স্ট্রাইকার কেইন।
ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম গোলের সুযোগ করে দেন কাইল ওয়াকার। সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ম্যানচেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডার সাকাকে বল বানিয়ে দেন। কিন্তু এতে গোল হওয়ার মতো শট নিতে পারেননি সাকা। এরপর স্বাগতিকদের গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৯ মিনিট পর্যন্ত। রাশফোর্ডের পা থেকে লুক শ, তার কাছ থেকে কেইনের ঠান্ডা মাথায় করা ট্যাবে বল জালে পৌঁছে যায়।
৩৮ মিনিটে নিজের প্রথম এবং দলীয় লিড দ্বিগুণ করেন সাকা। আর্সেনালের এই উইঙ্গার ওয়াকারের কাছ থেকে বল বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন। বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে ব্যবধান আরও বাড়ান রাশফোর্ড। মেসিডোনিয়ার এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে কেইন খুঁজে নেন জর্ডান হেন্ডারসনকে। বাইলাইন ধরে এগিয়ে লিভারপুল মিডফিল্ডার বল বাড়ান রাশফোর্ডকে। ছয় গজ দূর থেকে তিনি বাকি কাজ সারেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই গতিতে খেলতে থাকে সাউথগেটের দল। তাই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের গোলের জন্য মোটেও অপেক্ষা করতে হয়নি। ৪৭তম মিনিটে ট্রেন্ট অ্যালেজান্ডার-আর্নল্ডের ৫০ গজ দূর থেকে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বুলেট গতির শটে স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলেন সাকা। চার মিনিট পর আরেকটি গোলে তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
ম্যানসিটির ট্রেবল জয়ের উৎসবে মাতা ফিলিপস ও জ্যাক গ্রিলিশ এবার জাতীয় দলেও আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন। ৬৪তম মিনিটে গ্রিলিশের বাড়ানো ক্রস থেকে ফিলিপস দলের স্কোরশিটে নাম তোলেন। তবে গ্রিলিশের শটটি কেইনের দিকেই এগোচ্ছিল, সেখানে দেয়াল হতে গিয়েও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি মেসিডোনিয়ার এক ডিফেন্ডার। ফলে উল্টো বিপদ ডেকে এনে বলটি ফিলিপসের গায়ে ঠেকে। সেখান থেকে ফাঁকা জালে অনায়াসেই বল পাঠান একটু আগেই বদলি নামা ফিলিপস।
এরপর জন স্টোনস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ৭৩তম মিনিটে নেওয়া সফল স্পট কিকে দলের সপ্তম গোলটি করেন কেইন। এই গোলের পরপরই কেইনকে তুলে নেন স্বাগতিক কোচ। বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড। মেসিডোনিয়াও ব্যবধান কমাতে পারেনি। চার ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। দুইয়ে ইউক্রেন এবং ৩ পয়েন্ট নিয়ে ইতালির অবস্থান তিনে।