সিসি ক্যামেরায় দুই সিটির ভোট পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় প্রায় আট লাখ ভোটের দুই নগরীর ২ হাজার ৫০০টির মতো ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন।
ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে, কোথাও কোনো ধরনের গোলযোগ বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা কমিশনের নজরে পড়েনি।
ইসি জানায়, সিলেট সিটিতে ৩ হাজার ২০৪টি এবং রাজশাহীতে ২ হাজার ৫০০টি ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। আর ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে সিলেট সিটি এবং ১ হাজার ৪৬৩টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে রাজশাহী সিটির ভোট নির্বাচন ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন।
একনজরে সিলেট সিটি ভোট
সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয় জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
একটি মেয়র পদে আট জন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন– জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৪২টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের একটি করে মোট ১৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি থানায় একটি করে মোট ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ২২টি র্যাবের টিম ও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও বুধবার পর্যন্ত ৪২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন।
একনজরে রাজশাহী সিটি ভোট
রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ, ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন মহিলা এবং ছয় জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
একটি মেয়র পদে চার জন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন– জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান (লিটন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।
ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৩০টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের একটি করে মোট ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি থানায় একটি করে মোট ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ১৬টি র্যাবের টিম ও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য এক প্লাটুন করে মোট সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও বুধবার পর্যন্ত ৩০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন।