আজ: বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ইং, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ জুন ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

সিএমজেএফের ফল উৎসবে বক্তারা

পুঁজিবাজারের ভলো শেয়ার আসলে ভালো ফল পাওয়া যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশিয় ফল উৎসব সময়পযোগী ভালো উদ্যোগ। এতে কর্মব্যস্তার মাঝেও মনকে আনন্দিত রাখে এ আয়োজন। ফল উৎসবের সঙ্গে পুঁজিবাজারের ফলেরও একটি সর্ম্পক রয়েছে। পুঁজিবাজারে যদি ভালো শেয়ার আসে তবে ভালো ফল পাওয়া যাবে। লাভবান হবে বিনিয়োগকারীরা। আর যদি সব সময় খারাপ শেয়ার আসে. তবে পুঁজিবাজারে কখনো ভালো ফল পাওয়া যাবে না ।

বুধবার (২১ জুন ) পুঁজিবাজারের বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ফল উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বতে ও সাধারণ সমপাদক আবু আলী সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক এবং বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিনহাজ মান্নান ইমন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স আসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াদ মতিন, বিএমবিএর কার্যকরী পরিষদের সদস্য মাহবুব এইচ মজুমদার ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপস্থিত সকলে সিএমজেএফের আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং সাধুবাদ জানান।
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ২০১০ সালের ধাক্কা এখনো কোনো ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ডিএসইর ২৫০টি ব্রোকারেজের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ টি মোটামাটি ভালো ভাবে চলছে। বাকিগুলো কোনো রকম বেঁচে আছে। আর নতুন যে ব্রোকারেজ দেয়া হয়েছে এরমধ্যে ১০ থেকে ১২টি কাযক্রম চালু করেছে, বকিগুলোর কোনো খোঁঁজ নেই। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিনিযোগকারীরা বাজার ছেড়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো ফল মানে মুনাফা বা লাভ করা। কিন্তু সেই ফলের আসায় লোভ করা যাবে না। বেশি লাভের আশায় লোভ করলে পর বড় লোকসানের মূখে পড়ত হবে।
বাজারে ভালো ফলের জন্য ভালো শেয়ার প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ভালো ফল আসবে ভালো শেয়ার থেকে। কিন্তু বর্তমানে যেসব আইপিও আসতেছে সেগুলো কোনটিই ভালো না। পঁচা ও খারাপ কোম্পানির আয় বেশি দেকিয়ে আসে। কোম্পানির শেয়ারের দাম যেটা হওয়া দরকার তার থেকে কয়েকগুন বেশি দিয়ে আনা হয়। এভাবে আইপিও আসলে বাজার কখনো ভালো হবে না। বরং আরো খারাপ দিকে যাবে বলে তিনি জানান।
রিয়াদ মতিন বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের কাজে স্পৃহা যোগাবে।
সভাপতির বক্তব্যে জিয়াউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মতো বিকাশমান অর্থনীতিতে মূলধনের যোগান দিতে পারে শক্তিশালী পুঁজিবাজার। তবে পুঁজিবাজার ডমিনেন্ট হতে পারে বা ড্রাইভ দিতে পারে এমন অর্থনীতি আমাদের হয়নি। আমরা সেদিকে যাচ্ছি। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে যেতে হলে প্রয়োজন অর্থের। পুঁজিবাজার সেই অর্থায়নের উৎস হতে পারে। আমরা সেদিকে যাবো, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আমাদের অভিযাত্রা শুরু হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.