রেমিটেন্সের পর রপ্তানি আয়েও সুবাতাস
নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিটেন্সের পর রপ্তানি আয়েও সুবাতাস বইছে। অর্থবছর শেষে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা গেল অর্থবছর থেকে ৬.৬৭ শতাংশ বেশি।
এদিকে অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৫.০৩ বিলিয়ন ডলার, যা গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৫১ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। তাতে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের যে উলম্ফন ছিল, সেটা গেল অর্থবছরে আর ধরে রাখতে পারেননি রপ্তানিকারকরা।
২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয় এসেছিল ৫২.০৮ বিলিয়ন ডলার যা তার আগের অর্থবছর থেকে ৩৪ শতাংশ বেশি ছিল।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৪৬.৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০.২৭ শতাংশ বেশি।
তবে সম্ভাবনাময় চামড়াখাতের রপ্তানি আয় গেল অর্থবছরে কমেছে ১.৭৪ শতাংশ, আয় হয়েছে ১.২২ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে পাট ও পাটজত পণ্যের রপ্তানি আয় ১৯ শতাংশ কমে হয়েছে ৯১২ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রেমিটেন্স আয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, চলমান ডলার সংকটের সময়কালে দেশের জন্য ইতিবাচক। তবে এই আয় যাতে আরো বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিশেষ করে রপ্তানি আয়ের শতভাগ প্রত্যাবাসনের উপর জোর দিয়েছেন।
২০১২-১৩ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত রপ্তানি পণ্যের মূল্য ও দেশে আসা রপ্তানি আয়ের মধ্যে পার্থক্য প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার।