আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ জুলাই ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

রিয়াল মাদ্রিদেই যাচ্ছেন এমবাপে!

স্পোর্টস ডেস্ক : আরও একবার দলবদলের বাজারের বড় ইস্যু হয়ে উঠেছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জেতা তারকা কিলিয়ান এমবাপে। তরুণ এই ফুটবলারকে দলে ভেড়াতে বেশ আগ থেকেই দৌড়ঝাপ করছিলো স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। এমবাপে নিজেও মাদ্রিদের সাদা জার্সিতে খেলার আশা প্রকাশ করেছেন বহুবার। তবে, এবার সম্ভবত সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাতে চলেছে দুই পক্ষ।

ফুটবল বিষয়ক গণমাধ্যম গোল ডটকম জানিয়েছে, ৫ বছরের জন্য ফ্রেঞ্চ তারকাকে দলে ভেড়াতে প্রস্তুত রিয়াল মাদ্রিদ। আর এজন্য ২০০ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত দিতে রাজি স্প্যানিশ ক্লাবটি। আর সেইসঙ্গে বেতন হিসেবে এমবাপ্পেকে দেয়া হবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো। আর সেখানে তার রিলিজ ক্লজ হবে এক বিলিয়ন ইউরো।

২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এমবাপে আগেই জানিয়েছেন, তিনি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের হয়ে আর চুক্তি নবায়ন করতে ইচ্ছুক নন। আগামীবছর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে, নতুন ক্লাব খুঁজে নিবেন তিনি।

তবে, এতে বেঁকে বসে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাইয়ের শেষদিকে অবশ্যই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে তাকে। নয়ত ক্লাব ত্যাগ করাই একমাত্র সমাধান।

এমন পরিস্থিতিতে এমবাপেকে পেতে মাঠে নেমেছিলো ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল এবং স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ। তবে আপাতদৃষ্টিতে এই চুক্তির ব্যাপারে অনেকখানিই এগিয়ে আছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

যদিও মাদ্রিদের ক্লাবটি একবছর অপেক্ষা করে ফ্রি ট্রান্সফারেই দলে ভেড়াতে চায় ফ্রান্সের এই খেলোয়াড়কে। তবে, প্যারিসের ক্লাবটি সেই সুযোগ দিতে নারাজ। এমন টানাপোড়েনের মাঝে নিজের ট্রান্সফার ইস্যুতে সবকিছু রিয়ালের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন এমবাপে।

পিএসজির জার্সিতে এরইমাঝে ৫ মৌসুম পার করেছেন এই তারকা খেলোয়াড়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ফ্রেঞ্চ লিগের আরেক দল মোনাকো থেকে তাকে দলে কিনে নেয় লা প্যারিসিয়ানরা।

পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ ফুটবলের সব শিরোপাই পাওয়া হয়েছে তার। ২১২ গোল করে ক্লাবের ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোরারের মর্যাদাও পেয়েছেন তিনি। এবার সেই পর্ব শেষ করে নতুন ক্লাবে যাবেন কিনা, সেটা দেখার অপেক্ষায় ফুটবল ভক্তরা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.