আজ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

মোবাইলে ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন কিছুটা কমেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ লেনদেন কম হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। পরের মাসে কিছুটা কমেছে। অর্থাৎ মে মাসে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো ঈদ বা অন্য কোনো উৎসব থাকলে লেনদেন বেড়ে যায়। এখানে প্রবাসী আয়ও আসে। পাশাপাশি শহর থেকে গ্রামে কেনাকাটায় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টাকা পাঠিয়ে থাকেন। তবে উৎসবের পর কিছুটা কমে আসে। পরে আবারও বেড়ে যায়। এপ্রিল মাসের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছিল বলে জানান তারা।

বর্তমানে ১৩টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, ডাচ বাংলার রকেট, ইউসিবির ইউক্যাশ, নগদ, মাইক্যাশ, শিওর ক্যাশ ইত্যাদি।

আলোচিত সময়ে (মে ২০২৩) মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় নিবন্ধিত হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজারে। এটি তার আগের মাস এপ্রিলে হিসাব সংখ্যা ছিল ২০ কোটি ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২১০টি।

তাছাড়া মোবিইল ব্যাংকি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ এর হিসাবধারী রয়েছে সাড়ে ৬ কোটির বেশি। এ হিসাব যোগ করলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাব সংখ্যা সাড়ে ২৬ কোটি। তবে একই ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে পারেন। লেনদেনের এ সুবিধার্থে একাধিক সিমে একাধিক হিসাব খোলায় হিসাবধারীর বাড়ছে।

দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১১ সালের ৩১ মার্চ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সহ প্রতিষ্ঠান রকেট এর মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এর পর মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা হয় ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশের।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে শুধু লেনদেন নয়, নতুন নতুন সেবাও যুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে-বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো (রেমিট্যান্স) ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতনও এখন দেওয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.