কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ প্রগ্রেসিভ লাইফের ভারপ্রাপ্ত সিইও জহির উদ্দিনের
শেয়ারবাজার ডেস্ক: শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জহির উদ্দিনের কাছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান ঘুষ দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো এক আবেদনে জহির উদ্দিন এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে জহির উদ্দিন বলেন, কর্তৃপক্ষের সম্মানিত সদস্য (লাইফ) ও প্রগ্রেসিভের লুটেরা গোষ্ঠীর পারস্পরিক যোগসাজসে ও প্ররোচনায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের বে-আইনি ও রাগ-অনুরাগে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পেশাগত ক্ষতি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, সামাজিকভাবে হেয়, চাকরি রক্ষা ও জীবনহানী থেকে বাঁচার জন্য সদয় হস্তক্ষেপের প্রার্থনার করছি।
জানা গেছে, গত ৩০ জুন প্রগ্রেসিভ লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত চন্দ্র আইচের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। তার আগে নতুন সিইও নিয়োগ দিতে কাজ শুরু করে পরিচালনা পর্ষদ। তার ধারাবাহিকতায় ১৮ জুন পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যা গরিষ্ঠের ভোটে সিইও পদে জহির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
কোম্পানির একটি সূত্র জানায়, বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত একটি পক্ষ মেনে নিতে পারেনি। এ জন্য জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ শুরু করে। এতে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন আইডিআরএ সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান। এর অংশ হিসেবে তিনি অর্থ দাবি করেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর দেওয়া আবেদনে জহির উদ্দিন বলেন, আইডিআরএর সদস্য কামরুল হাসান নিষ্পত্তি হওয়া কিছু অভিযোগের বিষয়ে পুনরায় চিঠি ইস্যু করে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে অর্থ দাবি করেন। অর্থ না দেওয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে।
আবেদনে জহির উদ্দিন লিখেছেন, কামরুল হাসান আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছেন, তোমার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চেয়ারম্যান (আইডিআরএ) বলেছে। তোমার বিষয়টি চেয়ারম্যান নিজে দেখছেন, মন্ত্রণালয় দেখছে, এটা আমার হাতে নাই, উপরে চলে গেছে, তুমি এখানে (আইডিআরএ) আসলে শুধু আমার সাথে দেখা করবা। অন্য কারো সাথে দেখা করবা না বলে ভয় দেখান। এছাড়া আমাকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বানিয়ে দিবেন বলে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
উল্লেখ, বীমা কোম্পানির জনবল নিয়োগবিধি অনুসারে সর্বোচ্চ পদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে কোনো পদ নেই।
আবেদনে জহির উদ্দিন আরও লিখেছেন, আইডিআরএ) সদস্য (লাইফ) প্রগ্রেসিভ লাইফের সাবেক এক মাঠ নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুনের (যিনি কামরুল হাসানের ঘনিষ্ঠ ও পূর্ব পরিচিত) মাধ্যমে আমাকে ডেকে পাঠান।
হুমায়ুনের সামনে কামরুল হাসান আমাকে বলেন, ‘তোমার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চেয়ারম্যান (আইডিআরএ) বলেছে, তোমার বিষয়টি চেয়ারম্যান নিজে দেখছে, মন্ত্রণালয় হতে দেখছে, এটা আমার হাতে নাই, উপরে চলে গেছে’ তালুকদারের (হোমল্যান্ড লাইফের সাবেক সিইও) সাথে আমি ন্যাশনাল লাইফে চাকরি করেছিলাম, তালুকদার তোমাকে ইন্স্যুরেন্স খাত থেকে বের করে দিতে বলেছে। তোমার অনেক শত্রু, তুমি এখানে (আইডিআরএ) আসলে শুধু আমার সাথে দেখা করবা। অন্য কারো সাথে দেখা করবা না। হুমায়ূন তোমাকে ভাল ও দক্ষ বলেছে, তাই তোমাকে আমি তার মাধ্যমে ডেকেছি। তুমি আমাকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে দিবা। আমি তোমাকে এমডি করে দিব।
জহির উদ্দিন বলেন, ‘কামরুল হাসানকে প্রথমবারের মত দেখার কারণে আমি তাকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাকে প্রথম দেখাতে মনে হয়েছিল, তিনি কোনো বিচক্ষণ ব্যক্তি নন। তখন আমি বিনয়ের সাথে বললাম, ‘আমি সততার সাথে আইন, বিধি ও পরিচালনা পর্যদের সিদ্ধান্ত ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অজিৎ চন্দ্র অইচের (সদ্য বিদায়ী সিইও) নির্দেশে গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে কাজ করেছি। আমি নিরলসভাবে কাজ করছি বলে যড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি তো সিইও নই। আমাকে কেন কর্তৃপক্ষ এভাবে হয়রানি করবে, কাজ করলে আলোচনা/সমালোচনা হতে পারে, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সরেজমিন তদন্ত হয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘কামরুল হাসান তার অফিস কক্ষে বলেন, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা নোট আমি ধরে রেখেছি, ছিঁড়ে ফেলব। এটা বলার পর তিনি তার ব্যক্তিগত সহকারীকে নথি তার কক্ষে আনতে বলেন এবং তার নিকট রাখেন, আমাকে এবং হুমায়ুনকে দেখান এবং বলতে থাকেন যে, আমার স্ত্রী ও মেয়ে বাহিরে থাকে তাদের টাকা পাঠাতে হয়। আমি খুব কম টাকা বেতন পাই তাই আমার চলে না। গাড়ির ২০০ লিটার জ্বালানি সরকার দেয়, তাতে চলে না, গুলশান যেতে আসতে শেষ হয়ে যায়। প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা এবং আমাকে নিয়ে বীমা দাবি পরিশোধে মিটিং করে প্রতিটি মিটিং-এ ২ লাখ করে সম্মানী দিবা।’
এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির বিষয়ে যাতে পত্র জারি না হয়, এজন্য অদৃশ্য বোঝাপোড়া করতে হুমায়ুনকে বলেন। তখন হুমায়ুন বলেন, ‘সে আপনার কাছে এসেছে, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও যড়যন্ত্র হচ্ছে, আপনাকে খুশী করবে। আপনি আর চিঠি দিবেন না, সে কোম্পানির চাকরি করে, তার চাকরির ক্ষতি হবে। আমাকে অন্য কোন কোম্পানিতে অথবা নতুন কোম্পানিতে এবং জহির সাহেবকে প্রগ্রেসিভে এমডি করে দিলে আপনার টাকার অভাব হবে না।’ আমি (জহির) বলি আমার এমডি হবার প্রয়োজন নেই। আমাকে অন্য কোম্পানিতে একটা ব্যবস্থা করে দিলে হবে। আমি জানি তিনি পারবেন না। তারপরও তাকে বলি।
আলোচনার এক পর্যায়ে কামরুল হাসান বলেন, হুমায়ুনের কোম্পানির নিকট পি.এফ ফান্ডসহ অন্যান্য পাওনা আছে, তার পাওনা দাও না কেন? আমি চিঠি ইস্যু করে দিচ্ছি, তুমি তার চেকটা আমাকে দিবা।
জহির উদ্দিন জানান, ‘সর্বশেষ গত ১১ জুন কামরুল হাসান আমাকে তার কক্ষে ডেকে পাঠান এবং আমি বাধ্য হয়ে যাই। তিনি বলেন, ঈদের জন্য তুমি আমাকে ১ লাখ টাকা দিবা। তুমি তো কথা শোনো না, লাইন মত চল না, বেলাল ও সোহরাওয়ার্দী তোমার পরিচালক বজলুর রশিদ ও মিজান সাহেবের সাথে আমাকে মিটিং করতে বলেছে, তুমি টাকা না দিলে আমি তাদের সাথে কথা বলে তোমাকে কোম্পানি থেকে বের করব। তারা পাঁচ লাখ দিবে। তোমার কাছে ১ লাখ চেয়েছি, দিলে তাদের সাথে কথা বলব না।
জহির উদ্দিন বলেন, সেখান থেকে আমি নিরবে চলে আসি, তবে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাহী পরিচালক (আইন) যুগ্মসচিবকে অবহিত করি এবং অসুস্থ হয়ে পড়ি। কোথা থেকে এবং কীভাবে টাকা দেব।
তিনি বলেন, আমার বাবা অসুস্থ, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তবে বিনয়ের সাথে উপেক্ষা করা অথবা মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে কখনো আমি অফিসে নাই, মেয়ে অসুস্থ, নোয়াখালী ইত্যাদি বলে সময় ক্ষেপন করি। পরে আর তার সাথে দেখা করিনি।
জহির উদ্দিনের দাবি, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আনা অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত করে সত্যতা খুঁজে না পাওয়ার পরও পেশাগত সুনাম নষ্ট এবং মানসিক নির্যাতন করছে। এসব হয়রানি থেকে প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে মো. জহির উদ্দিনকে সর্বশেষ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদান করে। এর আগে তিনি এসইভিপি (সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট) পদ মর্যাদায় কোম্পানি সচিব, হেড অব এইচ.আর, লিগ্যাল এবং উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। উপযুক্ত পদসমূহ পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্রদান করে। কোম্পানি সচিব আইনের বিধান মতে একটি সংবিধিবদ্ধ পদ, কোনো পদবী না।
সবশেষ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অজিৎ চন্দ্র আইচ বিদায় নেওয়ার পর বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদনে জহির উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত সিইও নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপরও আইডিআরএ’র সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসানের অন্যায়, বে-আইনি আবদার, দাবি এবং দাবিকৃত অর্থ দিতে না পারায় নিষ্পত্তিকৃত একই বিষয়ে অব্যাহতভাবে অন্যায় অত্যাচার করছে। যা বন্ধ করতে আইডিআরএসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে আইনানুগ হস্তক্ষেপ কামনা করেন জহির উদ্দিন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে জহির উদ্দিন বলেন, বোর্ড আমাকে ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ায় একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ। সত্যিকার অর্থে আমি কোম্পানিকে গতিশীল করতে বদ্ধ পরিকর। তবে আইডিআরএর একের পর এক চিঠিতে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কামরুল সাহেবকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে।
তবে কোম্পানির স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে তিনি অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করবেন না বলেও জানান।
অভিযোগোর বিষয়ে জানতে একাধিকবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস দিয়ে মন্তব্য চাওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে অন্য একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, কোম্পানিটি বিভিন্ন সমস্যায় রুগ্ন হয়ে পড়েছে। গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিভিন্ন চিঠি ইস্যু করে বিষয়গুলো সমাধানের জন্য কাজ করছি। তবে তাদের চেয়ারম্যান বিদেশে থাকে, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সিইও তার মনমত সব কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি যেগুলোর রিপোর্ট আসতে শুরু করেছে।
প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা দিলে এমডি বানিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কামরুল হাসান বলেন, অর্থ চাওয়ার বিষয়টি হতে পারে না। আমরা গ্রাহকের স্বার্থে কাজ করি। আমাদের বোর্ডের সিদ্ধান্তে সব কাজ সম্পন্ন হয়। কাজ করতে গেলে যে কেউ অভিযোগের শিকার হতে পারে তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী গণমাধ্যমে বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আর এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আর যে কোনো কাজ আমার পর্যন্ত আসার আগে যদি কেউ অবৈধ লেনদেন করে সেখানে আমার কিছু করার নেই, যতক্ষণ না কেউ অভিযোগ করে। যদি কোনো বিষয়ে অভিযোগ আসে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জহির উদ্দিনকে কোম্পানি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা
এদিকে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জহির উদ্দিনকে কোম্পানি থেকে জোর করে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরের পর কোম্পানির পরিচালক বজলুর রশিদ এবং মিজানুর রহমান তাকে বের করে দিতে যায় বলে জানিয়েছেন জহির উদ্দিন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, দুপুরের কিছু পর দুজন পরিচালক এসে সিইওকে বের হয়ে যেতে বলেন। অন্যথায় তাকে বরখাস্ত করা হবে বলে হুমকি দেন। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত জুন মাসের ১৮ তারিখে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদনে জহির উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত সিইও’র দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি পরিচালক বজলুর রশিদ এবং মিজানুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন কোম্পানিতে নানা অসন্তোষ চলছে।
কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৪ সাল থেকে কোম্পানিতে বিভাজন নীতি শুরু হয়েছে। একজন পরিচালক নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য আইন কানুনের বাইরে গিয়ে নানা বেআইনি কর্মকাণ্ড করে আসছে। এ জন্য কোম্পানি গ্রাহকদের দাবি মেটাতে পারছে না। এমনকি নতুন ব্যবসাও আসছে না।