এফবিসিসিআই নির্বাচন নিয়ে ওয়ালটনের সিইও
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীরা যাতে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সে জন্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল কাজ করবে। এ জন্য বিজ্ঞ, প্রবীণ ও নতুনদের নিয়ে এই প্যানেল সাজানো হয়েছে। এই প্যানেল নির্বাচিত হলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এফবিসিসিআই) নতুন ধারা দেখতে পাবেন সবাই।
আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচন নিয়ে এসব কথা বলেছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে এফবিসিসিআই পরিচালক পদপ্রার্থী হয়েছেন তিনি। আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।
দেশের শিল্প খাতে পরিচিত নাম গোলাম মুর্শেদ। বিভিন্ন ভূমিকায় নেতৃত্ব দেওয়ার সাবলীল দক্ষতা রয়েছে এই প্রকৌশলীর। পেশাগত জীবনে ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি তাঁর রয়েছে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা, যুব ক্ষমতায়ন, নেতৃত্ব, শিল্পনীতি, প্রযুক্তি, দক্ষতা ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা।
তরুণ এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের লক্ষ্য বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়া। দেশের অর্থনীতিকে আরও বেগবান করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বিশ্বদরবারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রসার ঘটানো।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, নীতিনির্ধারণী ফোরামে শিল্প বিশেষজ্ঞদের নিয়োজিত করা, শিল্প-একাডেমিয়া সম্পর্ক আরও গতিশীল করা, টেকসই শিল্প উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অভিজ্ঞ পেশাদারদের সংযোগ ঘটানো এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি গ্রহণ করার বিষয়ে কাজ করতে চান তারা।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য হিসেবে ব্যবসায়ীদের পক্ষে কাজ করছেন গোলাম মুর্শেদ। সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে– অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই), বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই), বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই), বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টি (বিএমসিসিআই), বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ডাচ্-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিবিসিসিআই), ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি), ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই), জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই) ইত্যাদি।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ব্যবসায়ীরা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকেন। অর্থনীতির ভিত্তিকে মজবুত করতে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও তাদের ভূমিকা অনেক বেশি। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান। তবে অতিমারি করোনা এবং ভূরাজনৈতিক সমস্যা বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট নিয়ে এসেছে। সেটা না হলে এতদিনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের অনেকটা পথে এগিয়ে যেত বাংলাদেশ। পুরো সংকটকালীন সরকার ব্যবসায়ীদের পাশে ছিল। বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ, বিভিন্ন নীতি সহায়তা দিয়ে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হয়েছে। দেশীয় শিল্পের জন্য এটা খুবই দরকার ছিল।
স্বপ্নের বাংলাদেশ (এসবি) ফাউন্ডেশন এবং বেটার বাংলাদেশ টুমরোর (বিবিটি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গোলাম মুর্শেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চের নির্বাহী সদস্য, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) ডিপার্টমেন্ট অব ইইইর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাডভাইজরি প্যানেলের মেম্বার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য, মিরপুর স্পোর্টস অ্যান্ড ফিজিক্যাল কালচারাল সেন্টার সিটি ক্লাবের আজীবন সদস্য।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘দেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হলে দেশের কর্মসংস্থান তিন গুণ বাড়বে। একই সঙ্গে দেশে বেকারত্ব নিরসনও হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট যুগে প্রবেশ করেছে। আমাদের দক্ষ ও স্মার্ট কর্মী প্রয়োজন হবে। এখানে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে আমরা সমাধান করতে চাই।’
ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে তাদের প্যানেলের সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা সবাই কাজ করার আগ্রহ নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশে সাড়ে চার কোটি ব্যবসায়ী আছেন। সবার জন্য আমরা কাজ করব। ব্যবসা ও জনগণ একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। ব্যবসা যখন ভালো থাকবে, জনগণ তখন ভালো থাকবে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতি বেগবান হবে।’