সৌদির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে রেল প্রকল্প ইসরায়েলের
নেতানিয়াহু বলেছেন,প্রকল্পের শুরুর দিকে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত তেল আবিবের সঙ্গে সব শহরের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। তারপর প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হবে সৌদির সঙ্গে সরাসরি রেল সংযোগের কাজ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সৌদি সফরে গিয়েছিলেন। সে সময় মধ্যপ্রাচ্যের এই নেতৃস্থানীয় দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সেই সফরের এক সপ্তাহের মধ্যে রেল প্রকল্প বিষয়ক এই ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু।
সাংবিধানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা হ্রাসের প্রতিবাদে গত সাত মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে ইসরায়েলে, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা। ইহুদিশাসিত এই ভূখণ্ডটির গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা রীতিমতো উদ্বিগ্ন।
তবে মন্ত্রিসভার রোববারের বৈঠকে এসব প্রসঙ্গ নিয়ে নিতান্তই দায়সারাভাবে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসব ইস্যুর তুলনায় রেল প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতেই নেতানিয়াহু বেশি উৎসাহী ছিলেন। এ প্রকল্পের নাম তিনি দিয়েছেন ‘ওয়ান ইসরায়েল প্রজেক্ট’।ৎ
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালেও একবার বিস্তৃত রেল নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ইসরায়েল, কিন্তু সেবার প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই থেমে যায়।
রোববারের ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলে এমন একটি রেল নেটওয়ার্ক চাই, যা একদিকে এইলাতকে (আরব সাগরের তীরে অবস্থিত দক্ষিণ ইসরায়েলি শহর) ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে সৌদি আরব এবং আরব উপদ্বীপের সঙ্গেও যুক্ত করবে। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’