সু চিকে ৫ অপরাধে ক্ষমা ঘোষণা, সাজা কমছে কত?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির ৫টি অপরাধ ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। গৃহবন্দি এই নেত্রীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এবং এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি অভিযোগ ক্ষমা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এতে করে কয়েক বছরের সাজা কমছে মিয়ানমারের এই গণতন্ত্রপন্থি নেত্রীর। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে অসংখ্য অপরাধ রয়েছে এবং এর মধ্যে পাঁচটি অপরাধের জন্য তাকে ক্ষমা করা হবে বলে মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। এই পাঁচ অপরাধের জন্য সু চিকে মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
অবশ্য জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন ইলেভেন মিডিয়া গ্রুপকে বলেছেন, ক্ষমা ঘোষণার অর্থ হচ্ছে সু চির জেলের মেয়াদ ছয় বছর কমবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে বন্দি রয়েছেন সু চি। তবে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীকে গত সপ্তাহে রাজধানী নেইপিদোর কারাগার থেকে মুক্ত করে তার বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, উসকানি ও নির্বাচনী জালিয়াতি থেকে শুরু করে দুর্নীতি পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সেগুলোর বিরুদ্ধে আপিল করছেন অং সান সু চি। যদিও যেকোনো ধরনের অপরাধে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে সাজা হওয়ার পরও পাঁচ অপরাধে সু চির ক্ষমা পাওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার সামনে আনে মিয়ানমারের রেডিও ও টেলিভিশন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমা ঘোষণা করা হলেও সু চিকে আটকে রাখা হবে।
বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানানো ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ‘তিনি (সু চি) গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্ত হবেন না।’
মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়কের কন্যা ৭৮ বছর বয়সী সু চি কয়েক দশকের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের পর ১৯৮৯ সালে প্রথম গৃহবন্দি হন। ১৯৯১ সালে তিনি গণতন্ত্রের জন্য ভূমিকা রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
কিন্তু এরপরও সু চি অন্তরীণ ছিলেন এবং ২০১০ সালে গৃহবন্দিত্ব থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পান তিনি। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। আর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে হয়েছিলেন সু চি।