আজ: শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ অগাস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বিএনপির সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণা এবং আন্দোলনের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হলো এত টাকা তারা পাচ্ছে কোথা থেকে? সব চুরির টাকা কি এখন বের হচ্ছে? প্রতি মিটিংয়ে কত টাকা খরচ হচ্ছে, আর টাকা আসছে কোথা থেকে?

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কৃষক লীগের রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় এসব প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ কোনো দিন পালায়নি। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া চেষ্টা করেও শেষ করে দিতে পারেনি আওয়ামী লীগকে। তাদের দোসর জামায়াত, এতকিছু করেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে দেশত্যাগ করেছিল তারেক জিয়া। সেই পলাতক আসামি বলেন, আমরা না কি পালানোর পথ খুঁজে পাবো না। আরে তোরা তো পালিয়ে আছিস! পলাতক আসামির মুখে এত বড় কথা আসে কোথা থেকে?

২০০১ সালের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির দমন-পীড়ন এবং ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যদি এর এক শতাংশও প্রতিশোধ নিতাম, তাহলে এখন আপনার হদিস পাওয়া যেত না। কিন্তু আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না। আমরা তাদের (বিএনপি) রাজনীতি করার জন্য কোনো বাধা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতাদের মনে রাখা উচিত যে, খালেদা জিয়াকে ভোট কারচুপির অভিযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর ৪৫ দিনও তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি ২০০৬ সালে ১.৩০ কোটি ভুয়া ভোটার নিয়ে আরেকটি নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বাতিল করা হয়েছিল। তাদের অপকর্মের কারণে দুটি নির্বাচন বাতিল হয়।

কৃষকলীগের আলোচনা সভায় বিএনপির সঙ্গে বর্তমান সরকারের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার মতো গণহত্যা চালিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়, অনেককে নির্যাতন করা হয়, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, দখল করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা টিকতে পারেনি। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং সহনশীলতা দেখাচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মা-বাবা ও ভাইকে হারিয়ে এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয় নিয়ে এসেছি।

এসময় বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যাতে বাজি খেলতে না পারে সেজন্য তিনি আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনকে কাজ করার নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে প্রথম একটা স্থিতিশীল অবস্থা বাংলাদেশে বিরাজমান। যে কারণে আজকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে দিয়েছি, অথচ বিএনপি এটি চায়নি। তারা হাত পাততেই পছন্দ করে। এতেই তাদের লাভ। কিন্তু আমরা ভিক্ষুক জাতি হতে চাই না। আমার মাটি, সোনার মাটি, উর্বর মাটি। বীজ ফেললেই গাছ হয়, সেদেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে কেন?

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.