আজ: বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ অগাস্ট ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

২০২৩-২৪ অর্থবছর

কৃষিঋণ ঋণ দেবে ব্যাংক ৩৫ হাজার কোটি টাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছর কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে এবার ঋণের পরিমাণ ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থবছর কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

রোববার (৬ আগস্ট) নতুন অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লি ঋণের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা এবং কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ।

এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, কৃষিঋণ বিভাগের পরিচালক কানিজ ফাতেমা, পরিচালক দেবাশীষ সরকারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি অর্থবছর কৃষি ও পল্লি ঋণের চাহিদা বিবেচনায় মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। বেসরকারিখাতের ব্যাংকগুলো ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা এবং কৃষি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছর ব্যাংকগুলো মোট ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ করেছে, যা ছিল অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

গত অর্থবছর মোট ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৮১১ জন কৃষি ও পল্লি ঋণ পেয়েছেন। এরমধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ঋণ পেয়েছেন ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৫ জন। যেখানে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯৩৩ জন নারী ১২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকার কৃষিঋণ পেয়েছেন।

সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ পেয়েছেন ২২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। আর চর ও হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৩ হাজার ৪৪৯ জন কৃষক পেয়েছেন ১৮ কোটি টাকা।

ঘোষিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালায় নতুন করে কয়েকটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হতে হবে, আগে যা ছিল ৩০ শতাংশ। নতুন কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করতে হবে। পল্লি অঞ্চলে আয়-উৎসারী কর্মকাণ্ডে ঋণের সীমা ৫ লাখ টাকা। ছাদ কৃষি অর্থাৎ বাড়ির ছাদে বাগান করতেও ঋণ পাবেন গ্রাহক।

এছাড়া চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষে ঋণ বিতরণ করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। মৎস্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ এবং প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে দেশের ব্যাংকগুলোকে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.