আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ অগাস্ট ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ইয়ং বাংলা এবং পাওয়ার সেল-এর মধ্যে চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য দেশব্যাপী আইডিয়া হান্ট প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় অধ্যায় “বিচ্ছুরণ ২.০” চালু করতে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল, ইয়ং বাংলা ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স সম্প্রতি একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী অনুষ্টিত “বিচ্ছুরণ” নামক আইডিয়া হান্ট প্লাটফর্মের ধারাবাহিকতায় এবছর আবারো অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে এর দ্বিতীয় অধ্যায়।

সম্প্রতি সিআরআই-এর অফিসে এই ত্রি-পক্ষীয় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার আওতায় নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়া ও প্রতিভা খুঁজে বের করার পাশাপাশি এসব তাদের প্রয়োজনীয় ট্রেইনিং ও সহযোগিতা প্রদান কাজ করা হবে। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত বিচ্ছুরণ-এর আগের অধ্যায়ের মতোই ইয়ং বাংলা (সিআরআই-এর যুব নেটওয়ার্ক) সারা দেশে “বিচ্ছুরণ ২.০” প্রকল্পের জন্য একটি সংহত শক্তি হিসাবে কাজ করবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ’র উপস্থিতিতে সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়; যেখানে পাওয়ার সেল’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স’র ফারজানা চৌধুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইয়াং বাংলার টিম লিডার মোঃ রশিদুল হাসান যার যার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেসরকারি খাত এবং কমিউনিটি পর্যায়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তির প্রবর্তন ও প্রচার এখন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উদ্ভাবনের প্রচারের পটভূমিতে এই প্রকল্পটি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মাধ্যমে দেশের জনগণ ও প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য জ্বালানি বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।

আগের অধ্যায়ের মতো “বিচ্ছুরণ ২.০” হবে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা। সৌর, বায়ু এবং বায়োগ্যাস ভিত্তিক শক্তি সলিউশনের মতো নবায়নযোগ্য খাতে পণ্যটির নকশা, পরিচালনা এবং উপযোগী দিকগুলিকে কভার করে মৌলিক বৈজ্ঞানিক নীতিগুলির দ্বারা সমর্থিত উদ্ভাবনী ধারণার ভিত্তিতে বিজয়ীকে নির্বাচিত করা হবে।

প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্যায়ে, সারা দেশ থেকে জমা দেওয়া থেকে একশ (১০০) আইডিয়া নির্বাচন করা হবে, যাদেরকে একটি বুট ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত, কৌশলগত এবং লজিস্টিক বিষয়ক জ্ঞান প্রদান করা হবে, যাতে প্রতিযোগীরা তাদের আইডিয়াকে একটি সহজে বাস্তবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের কৌশলগত সমাধান হিসেবে দাঁড় করাতে পারে।

প্রতিযোগিতার শেষ ধাপে আবাসিক বুট ক্যাম্পের পরে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্টিত হবে, যেখানে পাঁচ (৫) থেকে দশটি (১০) প্রকল্প চূড়ান্তভাবে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা কমিউনিটি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন করা হবে এবং সেই উদ্দেশ্যে এই বিজয়ী প্রকল্পগুলোর বাণিজ্যিক পরিচালনার জন্য অর্থায়ন করা হবে এবং একটি টেকসই ব্যবসায়িক মডেলে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেইনিং প্রদান করা হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.