আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ অগাস্ট ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

২য় টি-টোয়েন্টিতেও ভারতকে হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শ্রেষ্ঠত্ব এখনও অটুট রয়েছে, সেটা আবারও প্রমাণ করলো তারা। টেস্ট এবং ওয়ানডেতে গো হারা হারের পর টি-টোয়েন্টিতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্যারিবীয়রা। প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও সফরকারী ভারতকে হারিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানের মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তোলে তারা। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তিলক ভার্মা।

জবাব দিতে নেমে নিকোলাস পুরানের তাণ্ডবের ওপর ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪০ বলে ৬৭ রান করেন নিকোলাস পুরান।

এর আগে প্রথম ম্যাচে ভারতকে ৪ রানে হারিয়েছিলো ক্যারিবীয়রা। ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করেছিলো ১৪৯ রান। ভারত ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিলো ১৪৫ রান।

রোববার রাতে টস জিতে হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। আগের ম্যাচে রান তাড়া করে জিততে পারেননি, এ কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। কিন্তু ভারতের তারকা ব্যাটাররা হতাশ করেন তাকে। ওপেনার শুভমান গিল আউট হন ৯ বলে ৭ রান করে। সুর্যকুমার যাদব ৩ বলে করেন ১ রান।

১৮ রান ২ উইকেট পড়ার পর হাল ধরন ইশান কিশান এবং তিলক ভার্মা। ৪২ রানের জুটি গড়ে তারাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। ২৩ বলে ২৭ রান করে আউট হন ইশান কিশান। তিলক ভার্মা ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। সাঞ্জু স্যামসন আউট হন ৭ বলে ৭ রান করে।

১৮ বলে ২৪ রান করেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন অক্ষ প্যাটেল। রবি বিষ্ণোই ৮ এবং আর্শদিপ সিং অপরাজিত থাকেন ৬ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আকিল হোসেন, অ্যালজারি জোসেফ এবং রোমারিও শেফার্ড নেন ২টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে সুর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান কিং। ২ রানের মাথায় ফিরে যান জনসন চার্লস। এরপর কাইল মায়ার্স এবং নিকোলাস পুরান মিলে কিছুটা হাল ধরে দলকে রক্ষার চেষ্টা করেন।

৩২ রানের মাথায় ৭ বলে ১৫ রান করে আউট হন কাইল মায়ার্স। এরপর রোভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে জুটি গড়েন পুরান। ৮৯ রান পর্যন্ত দলকে টেনে নেন। ১৯ বলে ২১ রান করে আউট হন পাওয়েল।

পরের জুটিটা শিমরন হেটমায়ারকে নিয়ে গড়েন নিকোলাস পুরান। এই জুটি দলকে নিয়ে যায় ১২৬ রান পর্যন্ত। এ সময় ৪০ বলে ৬৭ রান করে আউট হন পুরান। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে।

মাঝে রোমারিও শেফার্ড এবং জেসন হোল্ডার দু’জন কোনো রান না করে আউট হয়ে যান। একই সঙ্গে ফিরে যান শিমরন হেটমায়ারও। ৪ উইকেটে ১২৬ রান থেকে থেকে ৮ উইকেটে ১২৯ রানে পরিণত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়রা মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারালে ম্যাচ দারুণভাবে জমে ওঠে। ভারতের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে আকিল হোসেন এবং অ্যালজারি জোসেফ মিলে হাল ধরে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। আকিল হোসেন ১৬ এবং জোসেফ অপরাজিত থাকেন ১০ রানে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.