আজ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

বাড়তি দামে ডলার কেনাবেচা, ৭ মানি চেঞ্জারের সনদ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ডলার কেনাবেচা করায় রাজধানীর সাতটি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের সনদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বেশি দরে ডলার লেনদেন করায় ১০টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাখ্যা পাওয়ার পর তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

মেজবাউল হক বলেন, অতিরিক্ত দামে ডলার কেনাবেচার দায়ে ৭ মানি এক্সচেঞ্জারের সনদ স্থগিত, ১০টিকে তলব ছাড়াও দুটো মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ডলারের দাম বেশি নেওয়ার বিষয়টি যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।

সনদ স্থগিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ৭টির সনদ স্থগিতের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করা। এছাড়া ডলারের দামের অসত্য তথ্য জমা দেওয়া ও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে নিয়মিত তথ্য জমা না দেওয়া।

সনদ স্থগিত করা মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ, জামান মানি চেঞ্জিং হাউস, জেনি মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ, মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ, জেবি মানি এক্সচেঞ্জ ও বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ। ব্যাখ্যা তলব করা ১০ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান হলো-নিউ প্রাইম মানি চেঞ্জার, উত্তরা মানি চেঞ্জার, মিসা মানি এক্সচেঞ্জ, যমুনা মানি এক্সচেঞ্জ, পাইওনিয়ার মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, স্কাফ মানি চেঞ্জার, হজরত খাজা বাবা মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ ও মাতৃক মানি চেঞ্জার। এছাড়া মতিঝিলের নিয়ন মানি চেঞ্জার এবং পল্টনের জনী ট্রেডার্সের বিষয়ে যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেশিরভাগ ব্যাংক ও মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে নগদ ডলার মিলছে না। এতে নগদ ডলারের দাম আবারও বেড়ে গেছে। গতকাব মঙ্গলবার রাজধানীতে খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ বুধবারও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী এখন নগদে প্রতি ডলারের দাম ১১২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে থাকতে হবে। তবে আগামীতে ডলারের দাম বাড়তে পারে ভেবে কৌশলে ডলার কিনে মজুত করছেন কেউ কেউ।

ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুলাই ও চলতি আগস্ট মাসে ডলারের ব্যাপক চাহিদা। এখন অনেকে বিদেশে ভ্রমণের জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। শিক্ষার উদ্দেশেও অনেকে বিদেশে যাচ্ছেন। এসব কারণে অনেকেই নগদ ডলার সঙ্গে নিচ্ছেন। এতে ডলার কেনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে।

মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব শেখ মো. হেলাল সিকদার জানান, সম্প্রতি ডলারের চাদিহা বেড়ে যাওয়ায় কেউ কেউ ডলারের বাজার অস্থির করার অপচেষ্টা চালাতে পারেন। নিয়ম মেনে যারা ব্যবসা করেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি করছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.