আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠ নামছে টাইগাররা
স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপ শুরু হয়েছে চারদিন আগে। অথচ, আজই প্রথম মাঠে নামতে যাচ্ছে একটি দল। অন্য আরেকটি দল দাঁড়িয়ে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের সামনে। কোনোমতে পা হড়কালেই সব আশা-ভরসার সমাধি ঘটে যাবে। জিতলেও অপেক্ষায় থাকতে হবে, গ্রুপের পরবর্তী ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
আলোচ্য প্রথম দলটি আফগানিস্তান। দ্বিতীয় দল নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের অন্যতম শহর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানদের মুখোমুখি বাংলাদেশ দল। যথারীতি বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। খেলা সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস।
এশিয়া কাপ শুরুর দ্বিতীয় দিনই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ভঙ্গুর শ্রীলঙ্কা দলটিকে পেয়েও জিততে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর হেরেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হেরে গিয়েই শঙ্কায় পড়ে গেছে টাইগাররা। এবারের এশিয়া কাপ কি তবে শূন্যহাতে ফিরিয়ে দেবে বাংলাদেশকে? পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান যে এখন আর খুব একটা সহজ প্রতিপক্ষ নয়! কিছুদিন আগেই তো ঘরের মাঠে আফগানদের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ দল।
সেই আফগানিস্তান শ্রীলঙ্কার মাটিতে পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে সত্য; কিন্তু যে খেলা তারা দেখিয়েছে, তাতে করে বাংলাদেশের জন্য যে আজ কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, তা বলাই বাহুল্য।
এশিয়া কাপ শুরুর আগে থেকে সবার চোখ ছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এবং ‘নাগিন’ ডার্বির (বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা) দিকে। কিন্তু এর মাঝে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান ও যে কঠিন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিতে পারে, সেটাও সবার জানা থাকা প্রয়োজন।
যদিও আজকের ম্যাচের সব চাপ কিন্তু বাংলাদেশের ওপরই। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার কারণে টাইগারদের মনে আজ ছিটকে যাওয়ার ভয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া আর কারও ব্যাট কথাই বলেনি। বোলাররা কিছুটা ভালো করলেও তা শুধু স্পিনাররাই করেছে। পেসারদের কাছ থেকে তেমন ভালো বোলিং দেখা যায়নি।
এবার লড়াই লাহোরে। দুই দলের কাছেই প্রায় অচেনা ভেন্যু। বাংলাদেশ এই মাঠে সর্বশেষ খেলেছে ২০০৮ সালে। সর্বশেষ ওই ম্যাচে খেলা একাদশের একমাত্র মুশফিকুর রহিমই রয়েছে আজকের দলে। আর আফগানিস্তানের জন্য তো আরও নতুনত্বের বিষয়। পাকিস্তানের মাটিতে এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছে আফগানরা।
পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে আসলেও আফগান টপ অর্ডার ভালো রানের মধ্যে রয়েছেন। রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইবরাহিম জাদরান রান পাচ্ছেন। তাদের আরেক ব্যাটার রহমত শাহ টানা রানের মধ্যে থাকলেও সর্বশেষ কিছুদিন রয়েছেন অফ ফর্মে। যে কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচের দল থেকে ছিটকে যান তিনি।
মিডল অর্ডারেও আফগানদের ব্যাটিং কিছুটা নড়বড়ে। রিয়াজ হাসান মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। নজিবুল্লাহ জাদরান মাত্রই ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছেন। করিম জানাত ওয়ানডে খেলেননি গত প্রায় ৬ বছর। তবে, আফগানদের একটাই অনুপ্রেরণা, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আফগান পেসার ফজল হক ফারুকিকে সামলানো। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ফজল হক ফারুকি বাংলাদেশের জন্য এক মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। এছাড়া রশিদ, নবি আর মুজিব-উর রহমানরা তো আছেনই।
পারবে কি আজ বাংলাদেশ আফগান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সুপার ফোরের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে?