আজ: বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩ইং, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার |


kidarkar

দিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ তুলবে ঢাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী সপ্তাহে ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন সরকারপ্রধান। বৈঠকে ঢাকার পক্ষ থেকে তিস্তার ‘জট’ খোলার বিষয়টি তোলা হবে।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জাতিসংঘ পানি সম্মেলন-২০২৩’ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, উচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা নদীর হিস্যা নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা করে এসেছি। আশা করছি এবারও প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি তুলবেন। এছাড়া আমাদের তো অন্যান্য ইস্যুও রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। ভারতের গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি আছে, আলোচনায় সেটিও তোলা হবে। সব বিষয়ে আমাদের যৌথ নদী কমিশন এবং অন্যরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এক সেমিনারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আন্তঃনদী আলোচনার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব। হাসিনা-মোদির বৈঠকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় নদী নিয়ে আলোচনা হবে কি না এবং আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এটা নিয়ে আমরা আলাদা করে আলোচনা করিনি। অন্যান্য কয়েকটি বিষয় বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি।

চলতি বছরের মার্চে তিস্তার পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে দুটি খাল খননের বিষয়ে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে নয়া দিল্লির কাছে জানতে চেয়েছে ঢাকা। এরপর প্রায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এ বিষয়ে নয়া দিল্লির কোনো বার্তা পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এখনো পাইনি।

ভবিষ্যতে পানি সমস্যা সমাধানে আগাম সচেতনতার বার্তা দেন পররাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, আমাদের অনেক পানি আছে। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিন্তু আগামী পাঁচ বছর বা দশ বছর পর হয়ত আমাদের পানি নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ আসতে পারে। সেজন্য বৈজ্ঞানিকভাবে আমাদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। আমাদের যে পানি আছে, সেটিকে কীভাবে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট এবং এনগেজমেন্ট আছে, সেটি নিয়ে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। রিসোর্স মবিলাইজেশনের ব্যাপার আছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সম্পর্কিত তহবিল আছে, সেটিকে কীভাবে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি…অনেক কাজ আছে সামনে।


আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.