আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

তাইওয়ানে হাইকুইর তান্ডব, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় হাইকুই। এর প্রভাবে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহর ও কাউন্টিতে স্কুল এবং ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ বিমানের ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় হাইকুই। গত চার বছরের মধ্যে এটাই প্রথম ঘূর্ণিঝড় যা সরাসরি তাইওয়ানে আঘাত হেনেছে। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে।

রাষ্ট্রপরিচালিত তাইপাওয়ার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রায় আড়াই লাখ বাড়ি-ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। তবে পরবর্তীতে বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হলেও এখনো ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই পূর্বাঞ্চলীয় তাইতুংয়ের বাসিন্দা।

দক্ষিণ, পূর্ব এবং তাইওয়ানের মধ্যাঞ্চলীয় বিভিন্ন কাউন্টি এবং শহরে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া সোমবার শ্রমিকদের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়। রাজধানী তাইপেতে বিক্ষিপ্তভাবে দমকা বৃষ্টি হয়েছে।

তাইওয়ানের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, টাইফুন আঘাত হানায় বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তাইওয়ান সরকার জানিয়েছে, মূলত দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল থেকে সাত হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে। এর আগে শনিবার হংকং এবং চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সাওলা। এতে চীনে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় হাইকুইকে সাওলার চেয়ে কিছুটা দূর্বল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সাওলার প্রভাবে হংকং এবং চীনের বেশ কিছু প্রদেশে শুক্রবার শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও স্কুলও বন্ধ রাখা হয়। গুয়াংডং এবং ফুজিয়ান প্রদেশে প্রায় ৯ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.