চার উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক : হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের নিয়ে ভয় ছিল। সেই ভয়টাই যেন সত্য হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যাটাররা খেলতেই পারছেন না পাকিস্তানের পেস ব্যাটারিদের। ৪৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে টাইগাররা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৯ রান। সাকিব আল হাসান ৫ আর মুশফিকুর রহিম ২ রানে অপরাজিত আছেন।
আগের ম্যাচে ইনিংস ওপেন করতে নেমে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যে কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষেও মিরাজকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করানো হলো। তার ওপর আফগানদের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতেই প্রায় ১০ ওভার খেলেছিলেন তিনি নাঈম শেখের সঙ্গে।
সব মিলিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট জুটি ভাঙতে চাননি এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহদের বিপক্ষে মিরাজকে দিয়েই ইনিংস ওপেন করালো টিম ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের হয়ে আর ক্লিক করেননি মেহেদী মিরাজ। শাহিন শাহ আফ্রিদির বিপক্ষে প্রথম ওভার খেলেছেন নাঈম শেখ। যদিও কোনো রান করতে পারেননি।
দ্বিতীয় ওভার বোলিং করতে আসেন নাসিম শাহ। তার প্রথম বল মোকাবিলা করেন মিরাজ এবং প্রথম বল মোকাবিলা করতে গিয়েই ক্যাচ তুলে দেন তিনি (১ বলে ০)।
নাসিম শাহ যে বলটি করেছিলেন, সেটিতে সাধারণত উইকেট আসে না। কিন্তু শর্ট লেন্থের বলটি ছিলেন পা বরাবর। মিরাজ ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটের ওপরের কানায় লাগান। স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়েই ক্যাচটি ধরেন ফাখর জামান।
এরপর লিটন চোখ ধাঁধানো ৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে সেট হয়ে ভুল করার অভ্যাস থেকে বের হতে পারেননি এই ব্যাটার। শাহিন আফ্রিদির বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ১৩ বলে করেন ১৬ রান।
নাইম শেখও সেট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হারিস রউফের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে নাইমের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
তাওহিদ হৃদয় আরও একবার ব্যর্থ। রউফের ১৪৫ গতির বলে যেন চোখেই দেখেননি। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ (৯ বলে ২)। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।