জাহাজ নির্মাণকারীদের ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুবিধার সময় বাড়ল
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাহাজ নির্মাণকারীদের ঋণ পুনঃতফসিল সুযোগ দিয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তার মেয়াদ আবারও বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) নতুন করে সময় বাড়িয়ে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ।
এর আগে নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ডাউনপেমেন্ট বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দিয়ে গ্রাহককে সুবিধা নিতে আবেদন করতে হবে। ঋণগ্রহীতার আবেদন প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে গ্রাহকের আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে সেই মেয়াদ গত ৩০ আগস্ট শেষ হয়েছে কিন্তু নানা কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান এ সুযোগটি নিতে পারেনি। এ কারণে নতুন করে সময় বাড়ানো হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণ হিসাব পুনঃতফসিলের জন্য আগের সার্কুলার জারির তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ডাউন পেমেন্ট বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ নগদে জমাদানপূর্বক গ্রাহক আবেদন করতে পারবে মর্মে নির্দেশনা দেওয়া হয়; কিন্তু নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিভিন্ন কারণে এ খাতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিষ্ঠান অদ্যাবধি সার্কুলারে বর্ণিত সুবিধা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রাক-শর্তাদি পূরণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বরাবর আবেদন দাখিলে সমর্থ হয়নি। এমতাবস্থায়, গ্রাহক কর্তৃক ডাউন পেমেন্ট বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ নগদে জমাদানপূর্বক ব্যাংকের কাছে আবেদন দাখিলের সময়সীমা চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জুন বিদ্যমান ঋণের স্থিতির সুদ ও আসলের জন্য আলাদা হিসাব করতে হবে। সুদ বাবদ অর্থ সুদবিহীন ব্লক হিসাবে রাখতে হবে। আসল বাবদ পাওনার ওপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সুদ আরোপ করা যাবে। এতে দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ১০ বছরে আদায়যোগ্য ধরে ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
গ্রেস পিরিয়ড শেষে প্রথমে আসল আদায় পরে ব্লক হিসাবে রাখা সুদ আদায় করতে হবে। গ্রাহক চাইলে গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যেও আসল এবং সুদের অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। এ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম আড়াই (২.৫০%) শতাংশ ডাউনপেমেন্ট আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো জাল-জালিয়াতির ঋণ এ সুবিধাপ্রাপ্ত হবে না।