আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার |

kidarkar

বাংলাদেশ ব্যাংক আরো দুই রুপিতে লেনদেনের অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ-ভারত রুপিতে বাণিজ্য চালু হওয়ার পর থেকে অনেক বাংলাদেশি ব্যাংক ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্য পরিচালনার অনুমতি পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে আরো দুটি ব্যাংক- আরো দুই ব্যাংককে রুপিতে লেনদেনের অনুমতিভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এ নিয়ে এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী মোট ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারটিতে।

১১ জুলাই ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য চালু হওয়ার সময় সোনালী ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডকে (ইবিএল) বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য ডলারের পরিবর্তে রুপিতে এলসি খোলার অনুমোতি দেওয়া হয়।

এছাড়া আরো ছয় ব্যাংক- ট্রাস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক রুপিতে বাণিজ্য পরিচালনার অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এই ব্যাংকগুলোর আবেদন বর্তমানে পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

রুপিতে বাণিজ্য ব্যবস্থার বিষয়ে ব্যাংকাররা বলেন, প্রথমে ব্যবসায়ীরা পণ্য রপ্তানি করবেন এবং দাম পাবেন রুপিতে। এটি ভারতের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে। পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়ীরা তাদের অর্জিত রুপি থেকে আমদানি খরচ পরিশোধ করতে পারবেন। এতে করে ডলারকে রুপি বা টাকায় রূপান্তরের সময় যে ক্ষতি হতো, তা আর হবে না।

এই বাণিজ্য প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে আরো সমপ্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে বিশ্বে ১৮টি দেশ রুপিতে বাণিজ্য করে। যেহেতু আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ছে, আমরা অন্যান্য দেশে রপ্তানির মধ্যমে রুপিতে পেমেন্ট পেতে পারি, যা ভারত থেকে আমদানির খরচ মেটাতে সাহায্য করবে।

এদিকে, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এখন পর্যন্ত প্রাণ গ্রুপের জন্য ১.১ মিলিয়ন রুপি মূল্যের প্রাণ টোস্ট এবং ১.৩ মিলিয়ন রুপি মূল্যের কাঁচামালের জন্য এলসি খুলেছে ও নিষ্পত্তি করেছে।

বাংলাদেশে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, জুলাইয়ে তারা নিটল-নিলয় গ্রুপের সঙ্গে যানবাহন আমদানি এবং অপরিশোধিত সয়া তেল রপ্তানির জন্য একটি এলসি খুলেছে। আমদানির জন্য ১৬.১ মিলিয়ন রুপি এবং রপ্তানির জন্য ১২.৪ মিলিয়ন রুপির মোট চারটি এলসি এ পর্যন্ত খোলা হয়েছে।

এছাড়া, ওয়ালটন গ্রুপের অধীনে বাংলাদেশ ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি-এর জন্য আমদানি ও রপ্তানি এলসি খুলেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.