আজ: শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে ৩০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার গুণমান উন্নয়ন ও ঝরে পড়ার হার কমাতে ৩০ কোটি ডলার সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস। মূলত কভিড-১৯ মহামারীকালীন ক্ষতি থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার পুনরুদ্ধার, স্থিতিস্থাপক ব্যবস্থাপনা তৈরি, শ্রেণীকক্ষ ও অনলাইন শিক্ষণের সংমিশ্রণ গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন এ পদক্ষেপে।

গতকাল জাতিসংঘের দেয়া এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, কয়েক বছর ধরে শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লৈঙ্গিক সমতা অর্জনকারী প্রথম কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ছিল। কিন্তু কভিড-১৯ মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার ওপর গভীরভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অনেক দরিদ্র মেয়ে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এ ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। যাতে শিক্ষার্থীরা সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ জীবনযাপন এবং টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারে।

লার্নিং অ্যাক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন (এলএআইএসই) প্রোগ্রামের আওতায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য গণিত, ইংরেজি ও বাংলার মতো আবশ্যিক বিষয়ে মনোযোগ দেয়া হবে। কারণ এগুলো ভবিষ্যৎ শিক্ষার ভিত্তি। এর লক্ষ্য অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গণিতে দক্ষতা বর্তমানের ২৮ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশে এবং বাংলায় ৬৬ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা। ঝরে পড়ার হার কমাতে এ প্রোগ্রাম ৮০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেবে। পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি নিশ্চিত করবে। প্রায় সাত হাজার ২০০টি স্কুলে দক্ষতা উন্নয়ন ও ১৫ হাজার শিক্ষককে শিক্ষণ প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেবে। প্রোগ্রামটি মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিংয়েও সহায়তা করবে। কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

প্রোগ্রামটি নতুন অনুমোদিত পাঠ্যক্রমের ডিজিটাইজেশন ও পর্যায়ক্রমে নতুন বিষয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রতিকারমূলক ক্লাসগুলোকে সমর্থন করবে। ক্লাসে ও অনলাইনে শিক্ষা- সরকারের মাস্টারপ্লানকেও সাহায্য করবে।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে এ অর্থ আসছে। ৩০ বছর মেয়াদী এ ঋণে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড (কিস্তি অব্যাহতির সময়কাল) রয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.