জলবায়ুবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক : নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জলবায়ুবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে ব্যবসায়ীরা ‘নীতি সহায়তা’ পাবেন বলে জানিয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
সম্প্রতি ঢাকার ইন্ডেপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ূ নিয়ে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে চল্লিশ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদনের সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের আওতায় আমারা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলোকে সম্ভাবনায় পরিণত করতে চাই,” প্রধান অতিথি হিসেবে একটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বলেন।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিএডি) আয়োজনে ‘প্রিজারভ প্ল্যানেট আর্থ, ঢাকা-২০২৩’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্টের ভাইস-চেয়ারপারসন ওয়াসেকা আয়েশা খান।
সাবের হোসেন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন,বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনে বাংলাদেশ মাত্র ০.৪৮ শতাংশ অবদান রাখছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা শূন্যের কোঠায়। এবং বাংলাদেশ এই ভূমিকায় বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে।
সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে বিদেশী বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।
সংসদ সদস্য আয়েশা ওয়াসেকা খান বলেন, সক্রিয় অগ্রগতির অধীনে ৩০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প রয়েছে যার মধ্যে ২৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেসরকারি খাতের অর্থায়নে এবং আরও ৬৫ টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রযুক্তিকে সম্পদে পরিণত হতে পারে, অনেকক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের উৎসাহে ভর্তুকি প্রদান করা যাতে পারে।
আইসিসিএডির পরিচালক অধ্যাপক সলিমুল হক, আইইইই সভাপতি অধ্যাপক সাইফুর রহমান, সোলশেয়ার প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্তিয়ান গ্রো এবং নাসার অনুদান বিজয়ী ওয়াহিদুল হাসান মুখ্য বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সম্মেলনের আহ্বায়ক ছিলেন আইইউবির প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি কাইয়ুম খান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউবির চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান, বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিম।
প্রায় ৪৪ টি যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব এই সম্মেলনের “ইয়ুথ এনগেজমেন্ট পার্টনার” হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সটিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইইই), রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, প্রজেক্ট আরোধ্যা এবং হেল্প সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন, আবদুল মোনেম গ্রুপ এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সহযোগিতায় সম্মেলনটি বাস্তবায়ন করে ‘এনভোলিড লিমিটেড’।