আজ: মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটিতে জলবায় সহিষ্ণু, স্মার্ট এবং মৃত্তিকাহীন বাগান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে এগ্রিবিজনেস বিভাগ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগ যৌথভাবে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার এডাস্ট অডিটোরিয়ামে ঢাকা শহরে ‘জলবায়ু সহিষ্ণু, স্মার্ট এবং মৃত্তিকাহীন বাগান’ শীর্ষক এক সেমিনার আয়োজন করে। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব এডভোকেট লিয়াকত সিকদার এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভেজিটেবল সেন্টারের ফারহানা ইব্রাহিম, এফএও এর প্রজেক্ট ম্যানেজার গর্ডন ডি পেদ্র্,ো মৎস্য অধিদপ্তরের টেকশই কৃষি প্রকল্পের পরিচালক জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রকল্পের সাইট ওনার ও প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটি এর ট্রেজারার জনাব ফিরোজ এম হোসেন টিটু।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আবদুস সালাম। তিনি তার উপস্থাপনায় বলেন, আধুনিক বিজ্ঞান আজকের পৃথিবীর মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য এবং পৃথিবীকে দূষণমুক্ত একটি গ্রহে পরিণত করতে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করে যাচ্ছে। যেহেতু কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে, তাই মানুষের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অল্প জমিতেই অনেক বেশি ফসল উৎপাদন, এবং এমন প্রযুক্তি নিয়ে আসা যা একইসাথে পরিবেশেরও ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনবে অনেকাংশে। আর শুধু কৃষিজাত পণ্যেই যেহেতু পুষ্টির চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়, সাথে তাই মৎস্যজাত ও গৃহপালিত পশুর থেকে পাওয়া অন্যান্য খাদ্যের উৎসেরও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা জরুরি। ঢাকা শহরে, বাড়ির ছাদে মাছ এবং শাক সজি চাষের জন্য ঐতিহ্যবাহী/ট্রাডিশনাল ছাদ বাগানের সাথে জলবায়ু- সহিষ্ণু, স্মার্ট এবং মাটিবিহীন বাগান পদ্ধতির তুলনা করার জন্য পরীক্ষামূলক একটি গবেষণা প্রকল্প উত্তরাস্থ ১১নং সেক্টরের একটি বাড়ির ছাদে গ্রহণ করা হয়েছিল। গবেষণায় ছয়টি আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল: একোয়াপোনিক্স, এনএফটি হাইড্রোপনিক্স, ক্র্যাটকি হাইড্রোপনিক্স, স্ব-জলযুক্ত জিও-ব্যাগ, স্ব-পানিযুক্ত পাটের ব্যাগ, এবং ঐতিহ্যগত অর্ধ ড্রামের বাগান। তিনি এগুলোর উপকারী ভূমিকা ও চ্যালেন্জসমূহের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং সরকারী, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

প্রধান অতিথি জনাব লিয়াকত সিকদার বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে বর্তমানে আধুনিকতার যুগে, যখন একের পর এক গাছ কেটে অট্টালিকা, শিল্প-কলকারখানা, রাস্তা নির্মাণ চলছে সর্বত্র। বাংলাদেশে উৎপন্ন সবজি ও মাছ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরো বেশি পরিমান রপ্তানী করতে হবে। আর প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখার পাশাপাশি চারিদিক সবুজে ভরিয়ে তোলার বিকল্প নেই। তাই উদ্যোক্তাদের জন্য ছোট জায়গায় অল্প পরিসরে কিভাবে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করে সুন্দর বাগান তৈরি করা যায় তার উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম তার সমাপনী ভাষণে বলেন, শহর ও শহরতলিতে বর্তমানে কমছে ফাঁকা জায়গার পরিমান। উল্টোদিকে, গড়ে উঠছে ছোট বড় অট্টালিকা। ছাদে বাগান করার উপরই জোর দেওয়া হলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে তেমনি অতিরিক্ত গরমের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে বলেই তিনি মত প্রকাশ করেন। সফলভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন ও আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সেমিনারে স্বাগত ভাষন প্রদান করেন এগ্রিবিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সোনিয়া তাবাসসুম আহমেদ ও সঞ্চালনায় ছিলেন গবেষণা প্রকল্পের কো-পিআই ও এগ্রিবিজনেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন। উক্ত সেমিনারে এগ্রিবিজনেস বিভাগের অ্যাডভাইজর ড. মীর্জা হাসানুজ্জামান, কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদুল হাসানসহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান ও ড. সাইফুল্লাহ রাসেল, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, ডীন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি, বিভাগীয় অ্যাডভাইজর, চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.