আজ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

দেশের নিট রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে।দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে এ তথ্য দেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন,রিজার্ভ নিয়ে আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে। দেশে কত বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং কত মুদ্রা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব রিজার্ভ দিয়ে মিলছে না। সম্প্রতি এই হিসাব বেশ কিছুদিন ধরে ঋণাত্মক। এর অর্থ হলো, আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে।

দেশের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার বড় কারণ ডলারের দাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউএস ডলার ইনডেক্সের মান ২০২১ সালেও ১০০-এর নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তা ১০০-এর ওপরে চলে যায়। এখন কিছুটা কমলেও এখনো তা ১০০-এর ওপরে রয়েছে। এসব কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম ৬-এর সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার পেছনে বৈশ্বিক কারণের সঙ্গে দেশীয় কারণও রয়েছে। সেটা হলো সরকারের নীতি পরিবর্তন। বাজারে বিদেশি মুদ্রা চাহিবামাত্র পাওয়া না গেলে মুদ্রার প্রতিযোগিতামূলক, বাজারভিত্তিক, নমনীয় ও একক বিনিময় হার নির্ধারণ করেও লাভ হবে না

তিনি বলেন, সরকারের অগতানুগতিক নীতির কারণে গত দুই বছরে প্রতি মাসে ১ বিলিয়ন ডলার করে রিজার্ভ কমেছে। ২০২২ সাল থেকে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহও কমছে। ২০২২ সালে যেখানে মাসে ২০০ কোটি ডলার আসত, সেখানে ২০২৩ সালের প্রথম ৩ ত্রৈমাসিকে দেশে প্রতি মাসে গড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির সমালোচনা করেন জাহিদ হোসেন বলেন, এটি একদিক থেকে সংকোচনমূলক, আরেক দিক থেকে সম্প্রসারণমূলক। এটা কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। আবার বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমলেও সরকারের ঋণ বাড়ছে।

সেই সঙ্গে তেলের বাড়তি দামের বিষয়টিও উল্লেখ করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক এই মুখ্য অর্থনীতিবিদ। এ কারণেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবির সভাপতি ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশীদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.