আজ: রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

বিশ্বের বৃহৎ পণ্যমেলা চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে ৩য় বারের মত অংশ নিচ্ছে ওয়ালটন

নিজের প্রতিবেদক: বাংলাদেশী গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন তৃতীয় বারের মত অংশ নিচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পণ্যমেলা হিসেবে পরিচিত ‘চায়না আমদানি ও রপ্তানি মেলা’; যা ক্যান্টন ফেয়ার নামে সারা বিশ্বে সুপরিচিত। চীনের ঐতিহ্যবাহী এবং মর্যাদাপূর্ণ এই মেলায় এবারও ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

চীনের গুয়াংজুতে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ১৩৪তম শরৎকালীন চায়না ইমপোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট বা ক্যান্টন ফেয়ার। মোট তিনটি ধাপে নভেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই মেলা। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে ৬৬ বছর ধরে প্রতিবছর এপ্রিল ও অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয় এই মেগা ইভেন্ট। অক্টোবরের এই শরৎকালীন মেলার প্রথম ধাপ ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ তারিখ পর্যন্ত। যেখানে ইলেকট্রনিক্স এন্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস, লাইটিং ইক্যুইপমেন্ট, ভেহিক্যালস এন্ড স্পেয়ার পার্টস, মেশিনারি এবং হার্ডওয়্যার এন্ড টুলস পণ্য প্রদর্শিত হবে। ইলেকট্রনিক্স এন্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস ক্যাটাগরীতে অংশ নিচ্ছে ওয়ালটন। ক্যান্টন ফেয়ারের আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন।

ক্যান্টন ফেয়ারের প্রথম ধাপের ৫-দিনব্যাপী মেলায় প্রদর্শিত হবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইউরোপিয়ান এসিসি ব্র্যান্ড ও বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন ব্র্যান্ডের আন্তর্জাতিকমানের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যসমূহ। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অত্যাধুনিক ফিচারের রেফ্রিজারেটর, ভয়েস কন্ট্রোল ও ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ এয়ার কন্ডিশনার, রিচার্জেবল ফ্যান, সিলিং ফ্যানসহ বিভিন্ন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস।

ওয়ালটনের গেøাবাল বিজনেস শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুর রউফ জানান, ক্যান্টন ফেয়ারের ইতিহাসে বাংলাদেশী কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে একমাত্র ওয়ালটনই অংশ নিয়েছে। এবছর নিয়ে মোট তিনবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই পণ্য মেলায় অংশ নিচ্ছি। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ক্যান্টন ফেয়ারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন সাশ্রয়ী মূল্য এবং উচ্চমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য দিয়ে বৈশ্বিক ক্রেতাদের ব্যাপক প্রসংশা কুঁড়িয়েছে ওয়ালটন। তার প্রত্যাশা, পূর্বের মতো এবারও তারা ক্যান্টন ফেয়ারে শতভাগ সাফল্য অর্জন করবেন।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বাজারে এখন একচেটিয়া আধিপত্য ওয়ালটনের। এবার টার্গেট- ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা গেøাবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনকে প্রতিষ্ঠিত করা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের শীর্ষ পণ্যমেলায় অংশ নিচ্ছি আমরা। এসব মেলায় বিশ্বের সেরা মান ও ব্র্যান্ডের পণ্য নিয়েই হাজির হচ্ছে ওয়ালটন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন ঘটিয়ে উচ্চমানের পণ্য দিয়ে বিশ্বের যেকোনো ব্র্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত আমরা।

ওয়ালটন এসির সিবিও মো. তানভীর রহমান বলেন, ক্যান্টন ফেয়ারে অংশগ্রহণ করায় শুধু ওয়ালটনেরই নয়; বিশ্ব ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও আরো উজ্জ্বল হচ্ছে। ক্যান্টন ফেয়ার হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ প্লাটফরম। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকেই ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক লাখ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা আসেন এখানে। ওইসব ক্রেতাদের সঙ্গে ওয়ালটনের একটি আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধন তৈরি হবে।

জানা গেছে, ক্যান্টন ফেয়ারে আগত ক্রেতা-দর্শণার্থীদের নজর কাড়তে চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে চালানো হচ্ছে ব্যাপক প্রচারণা। ওইসব অঞ্চলে নিয়োজিত ওয়ালটনের পরিবেশক এবং প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের যেসব ক্রেতা ক্যান্টন ফেয়ারে যাবেন তাদেরকে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.