আজ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার সাংবিধানিক কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা ছোট হবে কি না, সেটির এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।

রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়রে সভাকক্ষে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত ‘পূর্ব পাকিস্তান সংকট শ্বেতপত্র’ পুনর্মুদ্রণের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার কোনো বাধ্যবাধকতা সংবিধান অনুযায়ী নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করা হয়নি। যে সরকার ছিল সে সরকারই দায়িত্ব পালন করেছে।

নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে, এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, এটি তো ভালো, কারণ বিদেশিদের আগ্রহ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বহুমাত্রিকতা আছে। দুই দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে এবং আমাদের উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ক বিদ্যমান। তাদের যে প্রতিনিধিদল এসেছে আমি মনে করি সেটি ভালো দিক।

বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো কাউকে ছাড়া নির্বাচন করতে চাই না। আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং অংশগ্রহণ করুক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। বিএনপি যে বলছে তাদের প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা, তারা নির্বাচনে এসে সেটি একটু যাচাই-বাছাই করে দেখুক।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে। নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করলো বা করলো না সেটির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কি না। সবশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশ নেয়নি। কিন্তু সেসব সিটি নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

ড. হাছান বলেন, আগামী নির্বাচনেও বিএনপি এলে আমরা স্বাগত জানাই, আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু না এলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।

দেশে অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। গোটা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সেটির ঢেউ কিছুটা যে বাংলাদেশের ওপর লাগেনি তা নয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং অন্য দেশগুলো এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সেটির ছোঁয়া বাংলাদেশেও লেগেছে, এটি খুব স্বাভাবিক।

বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক মাঝপথেই থেমে গেছে, এটা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এগুলো গুজব। তিনি (নিরাপত্তা উপদেষ্টা) বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক হয়েছে। এটি নিয়ে যারা লিখেছে তারা কি সেখানে ছিল? বিদেশি একজন শীর্ষ কূটনীতিক বা শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক কোন পর্যায়ে হলে আমাদের দূতাবাসে গিয়ে বৈঠক করে, সেটি যারা বুঝতে ব্যর্থ হয় তারা কিছুই বোঝে না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.