হামাসের হামলায় ৭০০ ইসরায়েলি নিহত, আহত প্রায় ২২০০
অন্যদিকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৪০০। সোমবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া হামাসের হামলায় ৭০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ)। এছাড়া গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় আর ২ হাজার ১৫০ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছে।
আইডিএফের মতে, গাজা উপত্যকা থেকে হামলার সময় ৩ হাজার ২৮৪টি রকেট ছোড়া হয়েছে। যদিও হামাস বলছে, তাদের ছোড়া রকেটের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। এছাড়া ইসরায়েল হামাসের ৬৫৩টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
এছাড়া ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক বিমান হামলায় ৪১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩০০ জন।
এদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতদের মধ্যে ভূখণ্ডটির ৪৪ সেনাসদস্য রয়েছে। ফিলিস্তিনি এ গোষ্ঠীর হামলায় প্রথমে ২৬ সেনা নিহতের তথ্য জানিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
তবে রোববার ইসরায়েল সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ৪৪ সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা পুলিশ, সীমান্তরক্ষী এবং সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী ইয়ামামের সদস্য ছিলেন।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীও ৪৪ জন সেনা নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) নিহতদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে বাহিনীটি। তারা জানিয়েছে, নিহত সেনাদের পরিবারকে তাদের মৃত্যুর ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
অবশ্য ইসরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনও অনেক সেনা নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া হামাসের সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটক করে গাজায় নিয়ে গেছেন। সেখানে তারা কি অবস্থায় আছে সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
মূলত মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত শনিবার ভোর থেকে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের একটি অভিযান শুরু করে হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়েছে ইসরায়েল।