ডেঙ্গুতে ১৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৭৩
নিজের প্রতিবেদকঃ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৪৮ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৬৭৩ জন।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৬৭৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৭৮ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ১৯৫ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে আটজন ঢাকার আর ঢাকার বাইরের বাসিন্দা পাঁচজন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই লাখ ৩৫ হাজার ২০৪ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯১ হাজার আটজন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে এক লাখ ৪৪ হাজার ১৯৬ জন ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১৪৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৭১৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪৩১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন দুই হাজার ২৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৭০ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৪৫৯ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ২৫ হাজার ৮০৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৫ জন।
ঢাকাসহ সারাদেশে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আট হাজার ২৪৮ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৫৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন পাঁচ হাজার ৭১০ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।