আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

অনুমতি ছাড়াই শেয়ার ইস্যু করেছে আল-আমিন কেমিক্যাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওভার দ্যা কাউন্টার (ওসিটি) মার্কেটে থাকা আল আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এমএসই মার্কেটে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটিকে এসএমই মার্কেটে লেনদেন করতে হলেও বিএসইসির নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তবে কোম্পানিটি ইতোমধ্যে কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই নতুন শেয়ার ইস্যু করে পরিশোধিত মূলধন হিসেবে অতিরিক্ত ২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

অথচ যেকোনো ইস্যুকারী কোম্পানির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু আল আমিন কেমিকক্যাল বিষয়টিকে আমলে না নিয়েই নতুন শেয়ার ইস্যু করেছে নিজেদের মতো করে। আবার এই কোম্পানি এসএমই মার্কেটে লেনদেনেরও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

যেখানে এসএমইতে নতুন করে লেনদেন করার আগেই বিএসইসির নির্দেশনার বিষয়ে কোন খবর নেই। সেই কোম্পানি আবার এসএমইতে লেনদেনে এসে বিএসইসির নির্দেশনাগুলো মানবে কি না বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কোম্পানিটির প্রধান কাযালয় এবং কারখানা প্রাঙ্গন পরিদর্শনের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পরিদর্শনের ফলাফল আগামী ১৫ কাযদিবসের মধ্যে বিএসইসিতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত রোববার এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

আল-আমিন কেমিক্যাল ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তবে, ২০০৯ সালে কোম্পানিটি ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে স্থানান্তরিত হয় এবং তখন থেকে সেখানেই রয়েছে। এখন কোম্পানিটি স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরিত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সে জন্য কোম্পানিকে মূলধন বাড়ানো, শেয়ারের অর্থ জমা সংগ্রহ এবং শেয়ার ইস্যু এবং তহবিল ব্যবহার সম্পর্কে বিএসইসির নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

এই জুলাইয়ে, ডিএসই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আল-আমিনের কারখানা ও প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করার জন্য কমিশনের কাছে এর কার্যকারি অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য অনুমোদন চেয়েছিল।

২০২২ সালের মে মাসে, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার সংস্থা মোনার্ক মার্ট এবং মোনার্ক এক্সপ্রেস এবং সহযোগীদের মাধ্যমে আল-আমিন কেমিক্যালের স্পন্সর-পরিচালকদের ৪৮.১৭৫ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করেছিলেন। যার মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুন্সি শফিউদ্দিন ৮.১৭৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছিলেন।

আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর কারখানাটি ফরিদপুরের কানাইপুরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এলাকায় অবস্থিত। এটি রাসায়নিক সার, ব্যাটারির পানি, পানীয় জল এবং সফটনার তৈরি করে।

২০২১-২২ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৫ লাখ টাকা লোকসান করেছে এবং এর শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ২৯ পয়সা।

কোম্পানির স্পনসর এবং পরিচালকদের ৫০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২.৫৪ শতাংশ এবং  সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭.৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.