সুখবর আসছে চিনি ও ভোজ্য তেলের দামে
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিগগির সুখবর আসছে ভোজ্যতেল ও চিনির দামে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের দাম আরেক দফা কমানোর চিন্তা করছে সরকার। দুই-একদিনের মধ্যে এই বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাসভবনে গত শুক্রবার তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
সভায় চিনি ও সয়াবিন তেলের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানোর মাধ্যমে এই দুই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব করা হয়। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম মত দেন, চিনি ও সয়াবিন তেলের ওপর থেকে শুল্ক কমানো হলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।
তবে আলোচনা শেষে চিনি ও সয়াবিন তেলের শুল্কহার পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে এই বিষয়ে সরকারের একটি সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
এর আগে গত মাসে সরকার প্রথমবার ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ ছয়টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। শেষ পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তিন দফায় ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। গত রোববার এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, চলতি সপ্তাহে কিছু ডিম দেশে আসবে।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি পিস ডিমের দাম কোনোভাবেই ১২ টাকার বেশি হবে না। অথচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের এখন কিনতে খরচ পড়ছে ১২ টাকার বেশি। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
আলুর বাজারেও একই অবস্থা। সরকার ৩৫ টাকা দাম নির্ধারণ করলেও আলুর সর্বনিম্ন মূল্য এখন ৫০ টাকা। সরকার ঠিক করে দিয়েছে দেশি পেঁয়াজের বিক্রয়মূল্য হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, কিন্তু এখন তা ৯০ টাকা ছাড়িয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অবশ্য ভোজ্যতেল বেশির ভাগ সময় নির্ধারিত দরে বিক্রি হয়।
কিন্তু চিনিতে দর মানা হয় না। এখন প্রতিকেজি খোলা চিনির নির্ধারিত দর ১৩০ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। কোনো কোনো জায়গায় তা ১৫০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।