২০২২ সালের শ্রেষ্ঠ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেল ব্র্যাক ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২২ সালের শ্রেষ্ঠ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই পুরস্কার জয়ের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক দুইবার এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জেতার গৌরব অর্জন করেছে। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পুরস্কারটি অর্জন করে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই পুরস্কারটি বাংলাদেশের সর্বাধিক পঠিত ইংরেজি পত্রিকা ‘দ্য ডেইলি স্টার’ এর সঙ্গে বিশ্বব্যাপী লজিস্টিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল’র একটি যৌথ উদ্যোগে দেওয়া হয়। ২০০০ সালে চালু হওয়া এই পুরস্কারের লক্ষ্য হলো, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যতিক্রমী ও উল্লেখযোগ্য অর্জন ও অবদানসমূহকে সকলের সামনে তুলে ধরা।
১৭ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি’র কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ডিএইচএল ওয়ার্ল্ডওয়াইড এক্সপ্রেস (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়ারুল হক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান।
এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার সম্পর্কে বলতে গিয়ে সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের উচ্চতর কার্যক্ষমতা ব্যাংকের সর্বোচ্চ বাজার মূলধন, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারহোল্ডিং, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্যামেলস রেটিংয়ের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। স্থানীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমরা সকল আর্থিক সূচকে শীর্ষস্থান বজায় রেখেছি এবং টেকসই ও মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের মানদণ্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন “ডিএইচএল এবং দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃক প্রদানকৃত এই বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডটি ব্যাংকিং খাতে ব্র্যাক ব্যাংককে সুউচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা প্রদানের পাশাপাশি দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ ব্যাংকিং চালিয়ে যেতে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে; ঠিক যেমনটি স্যার আবেদ স্বপ্ন দেখেছিলেন। ব্যাংকিং খাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে। আমরা আমাদের এই অর্জন আমাদের গ্রাহকদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই, যাদের আমাদের ব্যাংকের প্রতি অবিচল আস্থা এবং বিশ্বাসের কারণে আজ আমরা এই অবস্থানে আসতে পেরেছি।”