আজ: শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

সাজঘরে লিট্ন-তামিম, শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: ওপেনিংয়ের দুর্দশা যেন বাংলাদেশের শেষ হওয়ার নয়। প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশের লক্ষ্যও খুব বড় নয়, ২৩০ রানের। কিন্তু ওপেনিং জুটি কোনো এক অদৃশ্য চাপে ১৯ রানেই ভেঙে পড়লো।

১২ বল ৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেন লিটন দাস। ডাচ স্পিনার আরিয়ান দত্তের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল গ্লাভসে লেগে উঠে যায় ওপরে, উইকেটরক্ষক নেন সহজ ক্যাচ।

পরের ওভারে তানজিদ হাসান তামিমও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। পেসার ফন বিকের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন। বল ব্যাটে আলতো ছোঁয়া লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। ১৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৫ করেন তামিম।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৯ রান। নতুন ব্যাটার হিসেবে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মেহেদী হাসান মিরাজ ০ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে ৪৫তম ওভারে ৫ উইকেটে নেদারল্যান্ডসের ছিল ১৮৫ রান। স্কট অ্যাডওয়ার্সের ফিফটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ডাচরা। তবে সেখান থেকে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। ৯ রানের মধ্যে তুলে নেয় ৩টি উইকেট।

৮ উইকেটে যখন ১৯৪, মনে হচ্ছিল দুইশর আগেই অলআউট হতে পারে নেদারল্যান্ডস। সেটা হয়নি। তারপরও ডাচদের অল্পতে আটকে দেওয়ার সুযোগ ছিল। ৪৯ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের রান ছিল ৯ উইকেটে ২১২।

কিন্তু শেষ ওভারে শেখ মেহেদি হাসান উদার হস্তে রান দিলেন। এক ওভারেই ১৭ রান তুলে লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস। পুরো ৫০ ওভার খেলে ২২৯ রানে অলআউট হয়েছে ডাচরা।

অথচ ইডেন গার্ডেনে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ডাচদের শুরুতেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলামের আগুনে বোলিংয়ের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস।

৪ রানের মধ্যেই দুই ডাচ ওপেনারকে তুলে নেন এই দুই পেসার। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই বিক্রমজিত সিংয়ের (৩) উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে মিড অফে বিক্রমজিতের ক্যাচ ধরেন সাকিব আল হাসান।

পরের ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। স্লিপে দাঁড়িয়ে ম্যাক ও’দাউদের (০) ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ডাচরা।

এরপর ওয়েসলি বেরেসি আর কলিন অ্যাকারম্যান গড়েন ৫৯ রানের জুটি। বেরেসিই ছিলেন বেশি ভয়ংকর। ৪১ বলে ৪১ করা এই ব্যাটারকে সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোস্তাফিজ। পরের ওভারে ধীরগতির অ্যাকারম্যানকে (৩৩ বলে ১৫) ফেরান সাকিব।

বেস ডি লিডি সেট হয়ে গিয়েছিলেন। ২৫.২ ওভারে দলীয় রান ১০০ পার করে নেদারল্যান্ডস। ডি লিডিকে (৩২ বলে ১৬) উইকেটরক্ষক মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ডাচদের চাপে ফেলেন তাসকিন আহমেদ। আম্পায়ার অবশ্য শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় বল ডি লিডির গ্লাভসে হালকা স্পর্শ করে গেছে মুশফিকের হাতে। ১০৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।

কিন্তু অ্যাডওয়ার্ডসকে ১৬তম ওভারে জোড়া জীবন দেওয়াই বিপদ ডেকে এনেছে। দেখেশুনে খেলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ডাচ দলপতি। ষষ্ঠ উইকেটে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটে নিয়ে ১০৫ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।

অবশেষে ৪৫তম ওভারে এই জুটিটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। দুই জীবন পাওয়া অ্যাডওয়ার্ডস ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। ৮৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬৮ রান আসে ডাচ অধিনায়কের ব্যাট থেকে।

পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার সাইব্র্যান্ডকে (৬১ বলে ৩৫) এলবিডব্লিউ করেন শেখ মেহেদি। তবে লগান ফন বিক শেষ ওভারে এসে টাইগার অফস্পিনারের ওপর চড়াও হন। তুলে নেন ১৭ রান।

প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি আর চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পঞ্চম বলে সিঙ্গেলস নিয়ে ফন বিক দেন পল ফন ম্যাকেরেনকে। ম্যাকেরেন মেহেদির বলে এলবিডব্লিউ হলে ২২৯ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদি আর মোস্তাফিজুর রহমান। সাকিব আল হাসানের শিকার এক উইকেট।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.