দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাত্তাই দিলো না ভারত
কিন্তু প্রত্যাশা তো পূরণ করতে পারেইনি, উল্টো ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে অসহায়ভাবে একের পর এক আত্মসমর্পন করেছে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। যার ফলে মাত্র ২৭.১ ওভারেই ৮৩ রানে অলআউট হয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সে সঙ্গে ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিলো স্বাগতিক ভারত।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির ৩৫তম জন্মদিনে ৪৯তম সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলে ভারত। যদিও শুরুতে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল মাত্র ৫ ওভারেই ৬০ এর বেশি রান তুলে আরও বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
পরে দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে ভারতের স্কোর ৩২৬ রানের বেশি হলো না। শচিন টেন্ডুলকারকে ছুঁয়ে ৪৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিতে বিরাট কোহলি খেলেছিলেন ১১৯ বল। ৭৭ রান করেন স্রেয়াশ আয়ার।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই প্রোটিয়া ব্যাটারদের ওপর চেপে বসে ভারতীয় বোলাররা। বিশেষ করে রবিন্দ্র জাদেজা। এই ডানহাতি অফ স্পিনার একাই তুলে নেন ৫ উইকেট।
ভারতীয় বোলারদের সামনে দ্রুত এবং নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কককে মাত্র ৫ রানেই ফিরিয়ে দেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ১০ বল খেলে সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান ডি কক।
কুইন্টন ডি ককের দ্রুত ফিরে যাওয়াতেই যেন মনোবল ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১৯ বলে করেন ১১ রান। ৩২ বলে ১৩ রান করে আউট হন রাসি ফন ডার ডুসেন। ৬ বলে ৯ রান করেন এইডেন মার্করাম। ১১ বল খেলে মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন হেনরিক্স ক্লাসেন।
ডেভিড মিলার ১১ বল খেলে করেন ১১ রান। সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে মার্কো জানসেনের ব্যাট থেকে। কেশভ মাহরাজ ৭, কাগিসো রাবাদা ৬ এবং লুঙ্গি এনগিদি শূন্য রানে আউট হওয়ার পরই যবনিকাপাত ঘটে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ের।
রবিন্দ্র জাদেজার ৫ উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি এবং কুলদিপ যাদব। ১ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। বুমরাহ ৫ ওভারে ১৪ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।
এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১০০ রানের নিচে অলআউট করেছে ভারত। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫৫ রানে এবং এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮৩ রানে অলআউট করলো ভারতীয় বোলাররা।
সে সঙ্গে প্রমাণ হলো, রান তাড়া খুব একটা পারদর্শী নয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারের বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে দুটিতেই হেরেছে তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৭১ রান তাড়া করে জিতেছিলো মাত্র ১ উইকেটে। তাও ওই জয় নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।