আজ: শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ইং, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

বিশ্ব প্রিম্যাচিওর দিবস উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

নিজের প্রতিবেদক: বিশ্ব প্রিম্যাচিওর দিবস উপলক্ষ্যে একটি পেশেন্ট ফোরাম ও সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা। প্রতিবছর সারা বিশ্বে ১৭ নভেম্বর বিশ্ব প্রিম্যাচিওর দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রিম্যাচিওর শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।

নির্দিষ্ট সময়ের আগে তথা ৩৭তম সপ্তাহে শুরু হওয়ার আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের প্রিম্যাচিওর শিশু বলা হয়। প্রিম্যাচিওর শিশুর সবচেয়ে সাধারণ বৈশিষ্ট হল কম ওজনের জন্ম গ্রহণ করা। মূলত, এর নির্দিষ্ট কারণ এখনও পাওয়া যায়নি। গর্ভাবস্থায় মা যে স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়, তার উপর কিছুটা নির্ভর করে। এছাড়া শিশুর জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি/ জমজ বা একাধিক শিশু থাকলে এ ধরনের প্রিম্যাচিউর শিশুর জন্ম হতে পারে । এই সমস্যা উত্তরণে ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই আয়োজন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র পেডিয়াট্রিক বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং নিউনেটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অরডিনেটর ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ইকবাল ; এবং পেডিয়াট্রিক ও নিউনেটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. নুসরাত ফারুক। এছাড়াও, পেশেন্ট ফোরামে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার এবং এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ-এর মেডিকেল সার্ভিস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ সহ শিশু বিভাগের অন্যান্য সিনিয়র কনসাল্টেন্টগন ।

পেশেন্ট ফোরামে বিশেষজ্ঞরা প্রিম্যাচিওর শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া, মতবিনিময়কালে তারা সকলকে গর্ভাবতী নারীদের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও, শিশু মৃত্যুহার ঠেকাতে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) সেবা গ্রহণ ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করারও আহ্বান জানান।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার নবজাতক এবং নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট বাংলাদেশের টারশিয়ারি নবজাতক সেন্টার গুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০০৪ সাল থেকে এই ইউনিটটি বাংলাদেশের নবজাতকদের যত্ন ও সেবা দিয়ে আসছে। হাসপাতালটি এর সুযোগ-সুবিধা আধুনিকীকরণ, বিশেষ প্রশিক্ষণ ও নবজাতক যত্নের শিল্পকে মানবিকরণের মাধ্যমে নবজাতক মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.