নভেম্বরে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ডলারের। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পণ্য রপ্তানির অর্থমূল্য ছিল ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সেই হিসাবে গত নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি কমেছে বা নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.০৫ শতাংশ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ডলার সংকটের এ সময় টানা দুই মাস পণ্য রপ্তানি কমলো।
টানা দুই মাস পণ্য রপ্তানি কমে যাওয়ায় সামগ্রিক রপ্তানি বৃদ্ধির গতিও কমে গেছে। চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে (জুলাই–অক্টোবর) পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ।
কিন্তু নভেম্বর মাসে রপ্তানি কমায় পাঁচ মাসের হিসাবে (জুলাই–নভেম্বর) প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত জুলাই–নভেম্বর সময়ে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ২২৩ কোটি ডলারের পণ্য।
ত, গত ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
ইপিবির তথ্যে দেখা গেছে, তৈরি পোশাক ছাড়া বেশিরভাগ পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদি।
আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে ১ হাজার ৮৮৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে তৈরি পোশাকের মধ্যে নিট পোশাকের রপ্তানি ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে ওভেন পোশাকের রপ্তানি কমেছে সাড়ে ৪ শতাংশ।
বিজিএমইর মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণে গত দুই মাস ধরে রপ্তানি আয় টানা কমছে। তবে তুলনামূলক এখনও ভালো আছে রপ্তানি খাত। যদিও অনিশ্চয়তা পোশাক খাতের পিছু ছাড়ছে না। অভ্যন্তরীণ শ্রমিক অসন্তোষ ও আন্তর্জাতিক চাপ ছাড়াও অর্ডার যেভাবে কমছে সেই তুলনায় রপ্তানি আয় ভালো হয়েছে। জুলাই-নভেম্বর সময়ে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৭৫ শতাংশ। যদিও শুধু নভেম্বর মাসে মাসে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৭.৪৫ শতাংশ।’