আজ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস, যুদ্ধ থামানোর কথা নেই প্রস্তাবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক দফা বিলম্বের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবশেষে গাজা প্রস্তাব পাস হলো। প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানোর দাবি  জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয় প্রস্তাবটি। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও; ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে যুদ্ধবিরতি কথাটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর বদলে শুধু মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকার পর প্রস্তাবটি পাস হলেও; এতে যুদ্ধ থামানোর কথা না বলায়, এর মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া বলেছে, এই প্রস্তাব একটি ‘দন্তহীন’ ও ‘অক্ষম’ প্রস্তাব।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নিবানজিয়া বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বলা হয়নি। এর বদলে এটির মাধ্যমে ‘মুক্ত হস্তে’ ইসরায়েলকে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

যা রয়েছে পাসকৃত প্রস্তাবটিতে

সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে।
একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অবস্থা তৈরি করতে হবে।
ত্রাণ সরবরাহের জন্য যত পথ আছে তার সবগুলো ব্যবহার উপযোগী করে দিতে হবে।
জাতিসংঘের প্রধানের প্রতি একজন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যিনি ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি দেখবেন।

এছাড়াও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া ও মানবিক সহায়তা পূরণে গাজায় পর্যাপ্ত জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সূত্র: আলজাজিরা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.