আজ: রবিবার, ১২ মে ২০২৪ইং, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

জাপার কাদের-চুন্নুর পদত্যাগের দাবিতে অফিস ঘেরাও

শেয়ারবাজার ডেস্ক : নির্বাচ‌নে জাতীয় পা‌র্টির ভরাডু‌বিসহ দলে স্বেচ্ছাচারিতার অফিযোগে দল‌টির চেয়ারম‌্যান জিএম কা‌দে‌র ও মহাস‌চিব মু‌জিবুল হক চুন্নুসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতার অপসারণ চে‌য়ে‌ বিক্ষোভ করেছেন দল‌টির মাঠ প‌র্যা‌য়ের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বনানী কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা জি এম কা‌দের, চুন্নুদের বিরু‌দ্ধে ‘অ‌্যাকশন অ‌্যাকশন, কা‌দের চুন্নুর বিচার চাই,’ স্লোগান দি‌চ্ছেন। ঘেরাও ক‌রে রে‌খে‌ছেন চেয়ারম‌্যা‌নের বনানী অফিস।

নেতাকর্মী‌দের বি‌ক্ষো‌ভে উত্তপ্ত হ‌য়ে উঠেছে প‌রি‌স্থি‌তি। সামাল দি‌তে পু‌লিশ অবস্থান নি‌য়ে‌ছেন বনানী অফিসে।

ঢাকা মহানগর উত্তর, দ‌ক্ষিণ ও আশপাশের জেলার নেতাকর্মী‌রা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এখানে উপস্থিত আছেন দ‌লের কো-চেয়ারম‌্যান সৈয়দ আবু হো‌সেন বাবলা, প্রেসি‌ডিয়াম সদস‌্য সাইফু‌দ্দিন আহ‌মেদ মিলন, লিয়াকত হো‌সেন খোকা, সা‌হিদুর রহমান টেপাসহ দ‌লের‌ শীর্ষপর্যা‌য়ের নেতারা।

বিক্ষোভে জাতীয় পার্টির শীর্ষনেতাদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। জাতীয় পার্টির যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তার সঙ্গে প্রার্থী মনোনয়ন প্রশ্নে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু তিনি পার্টির মধ্যে বিভক্তি করতে দেননি। অথচ পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের গত ৪ বছরে তার সাংগঠনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অদূরদর্শির্তা এবং অদক্ষতার কারণে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। পাটির প্রার্থীদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসাঘাতকতা, প্রতারণা করা এবং তাদের এক প্রকার পথে বসিয়ে দেওয়ার জন্য পার্টির দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। সরকারের কাছে ধরনা দিয়ে ২৬টি আসনে সমঝোতা করে সেখানেও ভরাডুবি হয়েছে।

আমরা আশা করেছিলাম, জাতীয় পার্টিকে এতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব পদত্যাগ করে তাদের সম্মান রক্ষা করবেন। কিন্তু সে বোধদয়ও তাদের হয়নি। আমরা পার্টির সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মনোভাব জানতে পেরেছি। তারা পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অপসারণ দেখতে চান। এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টির ঐক্য বজায় রাখার জন্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিএম কাদের এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর তারা তাদের পদ থেকে অপসারিত বলে বিবেচিত হবেন।

এ পর্যায়ে গঠনতান্ত্রিক ভাবে পার্টিতে একজন ভারপ্রাপ্ত/নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিয়োগ করে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। এখন একান্ত প্রয়োজনে কিছু রদবদল ব্যতিত পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য পদে অধিষ্ঠিত নেতারা স্বপদে বহাল থাকবেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়ন দানে যে সব অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ কেলেঙ্কারী হয়েছে এবং ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জাতীয় পার্টির যে সব প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, আগামীতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। এ মূহূর্তে পার্টিকে সুসংগঠিত করে একটি জাতীয় সম্মেলন করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.