এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে পরীক্ষায় বসছেন লাখো শিক্ষার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ (৯ ফেব্রুয়ারি)। সব মিলিয়ে ১০৪টি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য এবার ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫৩৮০টি আসন এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট ৬২৯৫টি আসনের বিপরীতে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
> প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস রয়েছে যার মাধ্যমে অধিদপ্তর হতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়।
> পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি নিয়ে আসবেন।
> কেন্দ্র/ভেন্যু-তে পরীক্ষার্থীদের (ছেলে ও মেয়ে) পৃথক পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ও বল পয়েন্ট কলম ব্যতীত অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেলক্ষ্যে মেটাল ডিটেক্টরের পাশাপাশি আর্চওয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের বিষয়টি তদারক করা হবে।
> ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুতে সকাল ৮.০০টা হতে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে ইনভিজিলেটরগণ (কক্ষ পরিদর্শক) সকাল ৮.০০টা হতে পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষে অবস্থান করে প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর ছবির জলছাপ ও রঙিন ছবির সাথে পরীক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
> পরীক্ষার্থী, ইনভিজিলেটর ও ভেন্যুর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ কোনোভাবেই মোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্লুটুথ, এয়ারফোন, ইত্যাদি বহন করবেন না। ভর্তি পরীক্ষার হলে ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
> ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবে না।
> পরীক্ষার দিন পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের আশপাশের ফটোকপি মেশিন বন্ধ থাকবে।
> পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রকার অসদাচরণ/প্রতারণা/গুজব ছড়ানোর সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় যত নম্বর
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়ভিত্তিক বিভাজন- পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০টি প্রশ্ন থাকবে।
লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
এমবিবিএস ও বিডিএসে পাস নম্বর ৪০
এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের সময় তিনবার পাবেন শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সব কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।
দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কত নম্বর কাটা
২৪ ডিসেম্বরের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।